আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ খোলামেলা মতবাদ দিয়েছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সকারের হাতে বারবার নাজেহাল হয়ে, অগণিত রার জেল-জুলুম সহ্য করার পরও মির্জা ফখরুলের এমন সহনশীল চিন্তাধারা হতে পারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ইতিবাচক-উদারতার-সহনশীল রাজনীতির এক দৃষ্টান্ত।

প্রশ্ন : গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের নির্বাচন করতে দেওয়া নাও হতে পারে, এমন আলোচনা আছে। আপনি কি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে?

মির্জা ফখরুল : আমি শুধু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে না। কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষেই না। আমার ব্যক্তিগত মতামত গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিতে হয়। গণতান্ত্রিক চর্চা রাখতে হবে। একটি ফ্যাসিবাদী দল নিষিদ্ধ করলাম। তারপর সে ভিন্ন চেহারা নিয়ে ফিরে আসতে পারে। এটা এখন পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক চর্চা যদি থাকে, জনগণের সেটা উত্তর দিয়ে দেবে।

প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না, রাজনৈতিক মহলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আপনার মতামত কী?

মির্জা ফখরুল : নির্বাচন করতে না দেওয়ার বিষয়ে আমি একমত নই। আপনি নির্বাচন করতে দেবেন না কেন? জনগণ বিচার করবে আওয়ামী লীগ থাকবে কি-থাকবে না। এই যে রাজনীতিতে একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে, এ নির্বাচন করতে পারবে না, ওই নির্বাচন করতে পারবে না। ওকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যেমন জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করল। এটা কখনো ঠিক হয়নি।

তার প্রমাণ হলো, জামায়াত তো আবার সামনে চলে এলো। তাহলে লাভটা কী? চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া কখনো ঠিক হবে না। তবে আমি আওয়ামী লীগকে যতটুকু বুঝি, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ১৯৭৫ সালের পরও তারা নির্বাচন বর্জন করেনি। আমি মনে করি, ওই একটা দিক থেকে আওয়ামী লীগের কৌশল সঠিক। এ ধরনের দলগুলোর নির্বাচন বর্জন সবসময় সঠিক হয় না। দল যখন খারাপ অবস্থায় থাকে তখন তাকে টেনে তোলার জন্য নির্বাচন একটি রাস্তা।

প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মির্জা ফখরুল : আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারে, নির্বাচনেও আসতে পারে। কিন্তু জনগণের মধ্যে ফেরার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে কম দেখছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *