আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নিয়ে যা বললেন আন্দালিব রহমান পার্থ

দেশের রাজনীতিতে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক যুগান্তরের মুখোমুখি হন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত, নির্বাচন ইত্যাদি নানা বিষয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেন এই নেতা।

ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ’র সেই সাক্ষাৎকার :

ব্যারিস্টার পার্থ: তারা তো শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের কাজ হাতে নেয়নি। তারা যেহেতু রাষ্ট্র মেরামতের পরিকল্পনা করছেন, কতটুকু ও কিভাবে সংস্কার করবেন- এখন পর্যন্ত তারা তো কোনো গাইডলাইন দেননি। বিশেষ করে রাষ্ট্র মেরামতের কী কী গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দেবেন ও কত সময় উনাদের দরকার তখন বলা যাবে কতদিন মেয়াদ হওয়া উচিত।

বিশেষ করে ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এটা মানুষের তীব্র আকাঙ্ক্ষা আছে। আমাদেরও আকাঙ্ক্ষা আছে। মূল কথা হচ্ছে, এই সরকারের সময়টা নির্ধারণ করবে তারা কী ধরনের রাষ্ট্র মেরামত করতে চান।

ব্যারিস্টার পার্থ: অবশ্যই দেশের মাটিতেই সালমান এফ রহমানের বিচার হবে। দরবেশের বিচার বাংলার মাটিতেই হতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি তিনিই ধ্বংস করেছেন। ইকোনমিক সিস্টেমও ধ্বংস করেছেন। দেশে যে গণহত্যা হয়েছে তার সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত।

ব্যারিস্টার পার্থ: সরকার কিছু কাজ শুরু করেছে। দুর্নীতি নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে যেসব কাজ শুরু করেছে সেগুলো অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আমি মনে করি, আরও পথ বাকি আছে।

ব্যারিস্টার পার্থ: এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। এগুলো বিষয় সামনে দেখা যাবে। নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, দেশের পরিস্থিতি কী হচ্ছে। সময় এলে বোঝা যাবে।

ব্যারিস্টার পার্থ: আগামীর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা জনগণ ঠিক করবেন। আমার ধারণা, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আমি মনে করি, জনগণের যেটা ইচ্ছা সেটাই আমাদের ইচ্ছা হবে। আমরা চাই একটা সুষ্ঠুধারার রাজনীতি থাকুক।

ব্যারিস্টার পার্থ: এটা নির্ভর করবে তাদের কর্মপন্থা ও ভবিষ্যত দিনগুলোতে তাদের ভূমিকার ওপর। বর্তমান আওয়ামী লীগের যে পরিস্থিতি তাতে তারা ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে। আবার ভালো নেতৃত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতেও পারে। তবে যে হত্যা ও গণহত্যার দায়ভার আওয়ামী লীগের ওপর পড়বে তাদের মানুষের মনের ভেতরে জায়গা করে নিতে আরও বহু বছর সময় লাগবে।

আমি নীতিগতভাবে মনে করি, এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই।

ব্যারিস্টার পার্থ: আওয়ামী লীগ সরকার মনে করেছিল, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা কর্মসূচি দেবে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জামায়াতি আন্দোলন হিসেবে ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করবে; কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *