সিলেটের এমসি কলেজে এক শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্র শিবিরের হামলা ও রগ কাটার চেষ্টার অভিযোগে এবং কুয়েটের ভিসিকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ভিসি চত্বর হয়ে আবার টিএসসির ডাস এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় ‘রগকাটার রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না’, ‘শিবিরের সন্ত্রাস, রুখে দাও ছাত্রসমাজ’, ‘সিলেটে রগ কাটে, প্রশাসন কী করে’ বলে একাধিক স্লোগান দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, আমরা দেখলাম সিলেটে এমসি কলেজের একজন শিক্ষার্থী তার মনের আকাঙ্ক্ষা ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হোক গুপ্ত না থেকে ওপেন স্পেসে এসে রাজনীতি করুন’ এমন স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে ৭১ এর পরাজিত শক্তি শিবির তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, যেকোনো সাধারণ শিক্ষার্থী যেকোনো ধরনের মানুষ যৌক্তিক সমালোচনা করবে আমরা আমাদের মতামতের সাথে সমন্বয় করে নিজেদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করি। কিন্তু তারা এখনও রগ কাটার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, তারা মতামতকে গ্রহণ না করে রগ কাটার মতো অপরাধ করার চেষ্টা করেছে। যখনই এই গুপ্ত সংগঠন অবাধে চলাচলের সুযোগ পায়, তখন সে তার মতে করে বিভ্রান্তি তৈরি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ট্রমার মধ্যে রেখে দেয়।
শিবিরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের উচিত ছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর জাতির কাছে প্রকাশ্য ক্ষমা চেয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করা। কিন্তু আপনারা আধিপত্য বিস্তারের জন্য একের পর এক মব সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নামে বেনামে দোকান খুলে বসাইলেন। আপনারা ভাবলেন আপনারাই রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেন। আপনারা যদি কোনোভাবেই ভুল করেন পরাজিত শক্তির মতোই আচরণ করেন তাহলে প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনাদের আস্তাকুঁড় নিক্ষেপ করবে।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ছাত্রদলের পেছনে লাগবেন না। যৌক্তিক সমালোচনা করুন। অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র করলে গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলা করার ক্ষমতা আমাদের আছে। যদি কেউ রাজনীতিবিদ হতে চান তাহলে ছাত্রদল সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। কিন্তু যদি দেখি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মব তৈরি করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছেন তাহলে আমরা আপনাদের প্রতিহত করব।
সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষ্যে শত শত ছাত্রদলের নেতারা জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছে। আজকে একটি গুপ্ত সংগঠন সেই চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই জুলাই- আগস্টের সেই চেতনাকে আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এখনই সচেতন থাকতে হবে। কেউ যদি জুলাই-আগস্টের এই চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অতীতের ন্যায় নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।