গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই

শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দুই দিনব্যাপী সংলাপের ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক অধিবেশনে অংশ নিয়ে রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, লেখক-বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

দুই দিনব্যাপী এই সংলাপের আয়োজক ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ। শুক্রবার ছিল সংলাপের প্রথম দিন।

সংস্কারে জনগণকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের পক্ষে। এটুকু বলতে পারি, আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে কাজ করেছি, করব। আমরা মনে করি, জনগণকে বাদ দিয়ে ওপর থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।’

বিভিন্ন সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে, এরপর সরকার সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করবে। এতে অনেক সময় লাগার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওনারা (কমিশন) যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগে বসতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। যত বেশি সময় যাবে, আমাদের কাছে মনে হয়, সমস্যাগুলো তত বাড়বে। আসল সমস্যা তো অন্য জায়গায়। আপনি এগুলো বাস্তবায়ন করবেন কাদের দিয়ে?’

এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনার সেই প্রশাসন, সরকারের মেশিনারি তো পুরোপুরিভাবে এখনো ফ্যাসিবাদের মধ্যে আছে। এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। কাঠামোটা যদি না থাকে, শুধু ওপর থেকে চাপিয়ে দিলেই আমরা দ্রুত কোনো কিছু করতে পারব না। তাই আমাদের কাঠামোটা ঠিক করতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলেই আমরা গণতন্ত্রকে সফল করতে পারব।’

বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়—এ ধরনের আলোচনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *