সাবেক বেসামরিক পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হওয়ার পর তার প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে তার সেই স্ট্যাটাস নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কারাগারে থেকে তিনি কীভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিলেন। আবার অনেকেই জোর করে তার মাধ্যমে এমন স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক চেষ্টা করে অনলাইনে এসেছি। জেলের চার দেয়াল আমাদের নিজ সত্তার সামনে দাঁড়া করায়। অনেক কিছু বলতে চাই, কিন্তু এখন সবই বলতে পারছি না। এতটুকুই বলবো, শেখ হাসিনাকে নেত্রী মেনেছিলাম, কিন্তু আজকে তার হঠকারীতার জন্যই আমাদের দলের এই পরিণতি। দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান ব্যতীত কোনও ধরনের রাজনীতিতে ফেরা উচিত হবে না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাই না। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ফেরত চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’
এবিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারে বসে এ ধরনের প্রচার কিংবা ফেসবুক চালানো সম্ভব নয়। সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কারাগারে আটক কোনও বন্দির পক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কোনও সুযোগ নেই বিধায় বর্ণিত আইডিটি সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান কর্তৃক কারাগার হতে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
এতে আরও বলা হয়, তবে অন্য কেউ বা তার আত্মীয়-স্বজন Faruk Khan নামের আইডিটি পরিচালনা করছে কিনা তা অত্র দপ্তর অবগত নয়। বিষয়টি অনুসন্ধান পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফারুক খান বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে আলোচিত সমালোচিত সামিট গ্রুপের কর্ণধার মুহাম্মদ আজিজ খানের ভাই। গত বছরের অক্টোবরের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।