সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর কয়েক সদস্য নিয়ে বিএনপি’র আপত্তির কথা জানিয়েছেন দলটির বেশ কয়েকজন নেতা। অতীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে তাদের বিভিন্ন ভূমিকার জন্যই তাদের এই আপত্তি। বিএনপি ছাড়াও অন্য বেশ কয়েকটি দলের নেতাদের প্রায় একই রকম আপত্তি।
এছাড়া আলী ইমাম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর কার্যক্রম বিভিন্ন দলের নেতারা ক্ষোভের কথা জানা গেছে।
কয়েকটি দলের নেতাদের সাথে এবিষয়ে কথা বললে তারা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন জেসমিন টুলী। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন উপসচিব হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিল বিএনপির বিরুদ্ধে। দলটির প্রার্থী মির্জা আব্বাস, প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকা, বগুড়ার হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মেজর মান্নানসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আসনে ভৌতিক ভোটার তালিকা করা হয়েছিল। ভোটকেন্দ্রের নথি গায়েবেও জড়িত ছিলেন টুলী। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশের পর টুলীর কক্ষ থেকে নথিগুলো পাওয়া যায়।
এছাড়াও নির্বাচনী আসন অসামঞ্জস্যপূর্ণ পুনর্বিন্যাসের জন্য জেসমিন টুলীকে দায়ী করেছেন কয়েক নেতা। ২০১৪ সালের বিতর্কিত ও একতরফা নির্বাচন আয়োজনে সাবেক এই অতিরিক্ত সচিবের ভূমিকা ছিল বলেও জানান নেতারা।
এদিকে সাবেক সচিব আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর কার্যক্রম নিয়েও বিভিন্ন দলের নেতারা ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
আজকের রাজনৈতিক দলের সাথে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে এই বিষয়গুলি নেতারা তুলবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া এক বিচারপতিকে কমিশনের সদস্য করায় আপত্তি রয়েছে একটি ধর্মভিত্তিক দলের।
উল্লেখ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এটি হবে তৃতীয় দফা সংলাপ।