তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আবেদন করেন।
একই সঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপিল বিভাগে এই মামলায় লড়বেন বিএনপির মহাসচিব।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল যমুনা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের চেম্বার আদালতের অনুমতি নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার করতে একটি আবেদন করা হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি এই রিভিউ আবেদন করেন। অন্যরা হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। পরে ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালের ১০ মে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংশোধনীটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
এই রায়ের পর ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্ভূক্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাস হয়।
উল্লেখ্য, সংক্ষিপ্ত রায়ে আরও দু’বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে বলা হলেও শেখ হাসিনাকে খুশি করতে মূল রায়ে তা আর রাখেননি, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
তবে এনিয়ে কখনও প্রকাশ্যে কথা বলেননি, খায়রুল হক। যদিও পুরস্কার হিসেবে ৯ বছর আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন, আলোচতিত সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।