৫ আগস্টের পর সাধারণ মানুষের করা ঢালাও মামলায় অন্তর্বর্তী সরকার বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
ঢালাও মামলা করেছে ভুক্তভোগী জনগণ আর মামলা করা যে কোনো মানুষের নাগরিক অধিকার আর সেই সব মামলার পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা আর যারা নির্দোষ তাদেরকে উপযুক্ত তদন্তের মধ্যে দিয়ে খালাস দেওয়া আসিফ নজরুলের দায়িত্ব। তাই সাধারণ মানুষের করা ঢালাও মামলা নিয়ে তিনি কেন বিব্রত তা ঠিক বোধগম্য নয়। বরং তার বিব্রত হবার কথা ছিল একটা মামলার ঠিক মতো তদন্ত শুরু করতে না পারার জন্য। তার বরং বিব্রত হবার কথা ছিল জুলাই – অগাস্ট এর গণহত্যায় জড়িতদের আটক না করে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে দেবার জন্য। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন আটক করা বা তদন্ত করা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের মধ্যে পরে না। সেটা যেমন সত্য তেমন একই ভাবে সত্য সকারের অংশীজন হিসাবে সরকারের যেকোনো ব্যর্থতার দায়ভার তাকেও বহন করতে হবে। তাই সাধারণ মানুষের করা ঢালাও মামলায় বিব্রত না হয়ে তাদের দায়িত্বের ব্যর্থতা নিয়ে বিব্রত হওয়াটাই শ্রেয়।
আজ আসিফ নজরুলের বিব্রত হয় উচিত ৩২ নম্বর মেরামতের দাবি তোলা ফারুকী আর জুলাই – অগাস্ট এর গণহত্যার মামলার আসামি বশিরকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্তি করানোর জন্য। তা না করে তিনি যখন সাধারণ মানুষের করা মামলা নিয়ে বিব্রত হন তা বড়োই হাস্যকর , তা বড়োই বেমানান।
দায়িত্ব নেবার ১০০ দিন পরেও যখন দেখা যায় প্রশাসনের প্রতি পরতে পরতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরেরা বসে আছে তখন আসিফ নজরুলের বিব্রত হয় উচিত তাদের নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে। তিনি কি বলতে পারবেন সাধারণ মানুষের করা ঢালাও মামলা ঠেকানোর জন্য তিনি কি করেছেন? তার বা তার সকারের পক্ষ থেকে কি সুচিন্তিত ভাবে সকল ঘটনার জন্য মামলা করার কি কোনো ব্যবস্থা করা হয়েছে? জুলাই-আগস্টের হত্যার বিচার বা গত ১৫ বছরের নানা অবিচারের বিচার পাবার জন্য তিনি ঠিক কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?
তাই তিনি বিব্রত হতেই পারেন, তবে তার বিব্রত হয় উচিত তার নিজের ব্যর্থতার জন্য, তার সরকারের ব্যর্থতার জন্য।