জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “দেশপ্রেমিক দুটি শক্তি রয়েছে—একটি সেনাবাহিনী, অন্যটি জামায়াতে ইসলামী। সেনাবাহিনীর ক্ষতিসাধন করা হয়েছে, এবং জামায়াতকে দুর্বল করে দিলে সরকার যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে।”
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় রংপুরের পাগলাপীর এলাকায় জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বক্তব্য
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে প্রাণ হারান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ বন্ধ করে খুনিদের পালানোর ব্যবস্থা করা হয় এবং হাজার হাজার বিডিআর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলে থাকা অবস্থায় শতাধিক সদস্য মারা যায়।”
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে অভিযোগ
জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে এবং একের পর এক দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। সেনাবাহিনীর পর তারা জামায়াতে ইসলামীকে টার্গেট করেছে।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ এ দেশকে কার্যত ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছে এবং দেশবাসীকে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বিভাজনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”
সংখ্যালঘু অধিকার প্রসঙ্গে বক্তব্য
তিনি দাবি করেন, “আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল এবং নির্যাতনে যুক্ত ছিল, অথচ তারা মায়াকান্না করে দেশপ্রেমিক মানুষ, বিশেষত নিষ্ঠাবান মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়েছে।”
অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বক্তব্য
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমান বেলাল, এ টি এম আযম খান, এবং এনামুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উপরোক্ত প্রতিবেদনটি পেশ করার আগে যাচাই-বাছাই এবং