গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনে হতাশ হয়েছি। ৩৬ দিনের আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হয়নি। এর পেছনে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে। সেসব আন্দোলন ঘোষণাপত্রে সংযুক্ত করতে বলেছি। যে ঘোষণাপত্র দেখানো হয়েছে তা কারা লিখেছে, সে জিজ্ঞাসার কোনো সদুত্তর পাইনি।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টা যখন বলেছেন, আপনারা আমাদের কাছে আসলেই আমরা সাহস পাই। যখন আপনারা থাকেন না, আমরা একাকিত্ববোধ করি। এর পিছনে আসলে কি কারণ রয়েছে?
তার একটি কারণ আমার কাছে মনে হলো, প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বললেন, ছাত্ররা হঠাৎ করে আমার কাছে একটি দাবি নিয়ে আসলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে, সেখানে আপনাকে থাকতে হবে। আমি তাদেরকে সাথে সাথে বললাম, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং বিপ্লবে যারা অংশ নিয়েছে, সেই শক্তির সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়া, আমি এই ধরনের ঘোষণা পাঠ করতে পারবো না।
রাশেদ খান জানান , আজকে দুপুর দুইটার সময় ঘোষণাপত্র পাঠানো হয়েছে, প্রায় প্রতিটি দল প্রশ্ন করেছে, এই উদ্যোগ কি আসলে সরকারের পক্ষ থেকে? এই যে ঘোষণাপত্র আপনারা তৈরি করেছেন, এইটা কি সরকার তৈরি করেছে, নাকি ছাত্ররা তৈরি করেছে, নাকি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিয়েছে?
সরকার এই বিষয়ে কোন স্পষ্ট বক্তব্য পেশ করেনি।
মুহাম্মদ রাশেদ খান আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের দল যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে তা অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছি। ঘোষণাপত্রের জন্য আরেকটি জাতীয় কমিটি বা কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছি।