শাহবাগের গণজাগরণ নিজের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জোনায়েদ সাকি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ আন্দোলনকারীদের বিচারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সম্প্রতি একটি জনসভায় তিনি অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধের নামে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারবিভাগীয় হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শাহবাগের আন্দোলনকারীদেরও বিচারের মুখোমুখি করার ঘোষণা দেন।

এই ঘোষণার পর শাহবাগ আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক নেতা এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে শুরু হয় নানা আলোচনা। জামায়াত আমিরের বক্তব্য অনুযায়ী, কারা এই বিচারের আওতায় পড়বেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সেসময়ের আন্দোলনে যুক্ত অনেককেই এখন জামায়াত ঘনিষ্ট , আবার অনেকেই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আওয়ামী সরকারের পতনে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। তেমনি একজন গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জোনায়েদ সাকি।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, “সংক্ষুব্ধ হবার অধিকার সবারই আছে। সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কেউ যেকোনো বিচারের দাবি তুলতেই পারে। জামায়াতও তাদের দাবি জানিয়েছে। তবে সরকার এ বিষয়টি কীভাবে ব্যবহার করবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শাহবাগ আন্দোলনে তার অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচারপ্রক্রিয়ায় বাদীপক্ষের আপিলের অধিকার নিশ্চিত করা।

তিনি উল্লেখ করেন, “যেকোনো বিচারপ্রক্রিয়ায় আপিলের অধিকার না থাকলে বৈষম্যের সুযোগ থেকে যায়। সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আমরা সংহতি জানিয়েছিলাম।”

শাহবাগ আন্দোলন মূলত শুরু হয়েছিল জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে। সেই সময় প্রচলিত আইনে আপিলের সুযোগ না থাকায় আইন সংশোধনের দাবি উঠে। আন্দোলনের চাপে সরকার সেই আইনে পরিবর্তন এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার পথ প্রশস্ত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *