ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সানজিদা আফরিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে সানজিদাকে বরখাস্ত করার বিষয়টি জানানো হয়। বর্তমানে তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত রয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সানজিদাকে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্তকালে তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ। কিন্তু ওই প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার আগেই বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ দাবি করেছেন, তিনি সানজিদা আফরিনের নির্দেশে এই কাজটি করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আরিফকেও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এডিসি সানজিদা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ রকম আলোচিত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্তের এখতিয়ার তার নেই।
উল্লেখ্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী সানজিদা। তবে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো নয়। এর কারণ, সানজিদার সঙ্গে এডিসি হারুনের ‘বিশেষ সুসম্পর্ক’।
সানজিদা-হারুনের এই ‘বিশেষ সুসম্পর্কের’ জের ধরেই ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটক করা ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় আলোচনায় আসেন।