হাসনাতের নেতৃত্বে কুমিল্লায় আওয়ামী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নামে মামলা দেন। তাদের ঘর থেকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করুন। আওয়ামী লীগ যেভাবে মানবাধিকার হরণ করেছে, তাদের আর পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। সন্ত্রাসী হিসাবে আইন করে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আয়োজনে নগরীতে মশাল মিছিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রয়োজনে কুমিল্লা থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আপনারা জানেন, বিগত সময় কুমিল্লার মানুষ খুনি বাহারের (সাবেক সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার) ত্রাসের রাজত্বে ভয়ে ছিলেন। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হাসপাতাল, এমনকি রাস্তার ফুটপাতের ব্যবসায়ীদেরও বাহার বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়েছে। বাহার গংরা কুমিল্লায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। কুমিল্লাবাসী বাহারসহ ফ্যাসিবাদকে বিলুপ্ত করেছে। এখনও তারা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু তাদের কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।

হাসনাত বলেন, জাতির পিতা নামে শেখ মুজিবকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মেজর জিয়াউর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে, যিনি দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন তাকে রাজাকার পর্যন্ত বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান আছে তাদের যথাযথ হিস্যা আমরা দাবি করি। কেউ পাকিস্তান থেকে এসে জাতির পিতা দাবি করবে, তা আমরা কখনও মেনে নেব না।

বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হাসনাত বলেন, বাজারে যদি জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, সিন্ডিকেট না ভাঙা যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পাবে। আপনারা যারা ছাত্রদল, শিবির, ডান বা বামদল আছেন। আমাদের সবার পরিচয় আমরা মাজলুম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, কুমিল্লার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, যারা ভারতে বসে কুমিল্লাকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন, আমি তাদেরকে হুংকার দিয়ে বলতে চাই- শুধু কুমিল্লা কেন, বাংলার মাটিতে কোথাও তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

সমাবেশ ও মশাল মিছিলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু রায়হান, সাকিব হোসাইনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মশাল মিছিলটি কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো টাউনহলে ফিরে আসে।

এ সময় মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে ভাই, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *