গণহত্যা এবং ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং দলটির নেতা-কর্মীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই দাবি তোলেন।
ওই পোস্টে মন্তব্য করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। গোলাম রাব্বানী মন্তব্যে লেখেন, “মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা ও নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা প্রয়োজন।”
এর প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।”
হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট (মূল বক্তব্য):
“রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ায় বিপ্লব পরবর্তী সময়ে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। অথচ জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও এখনো ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ কিংবা তার দলের একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর হয়নি। এ ধরনের বিলম্ব পুরো গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি অপমানসূচক।
৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমাদের হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হতো। নির্বিচারে গুম, খুন ও গণহত্যা সংঘটিত হতো। বিপ্লবীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হতো, অসংখ্য মানুষকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হতো। হাজার হাজার ছাত্র ও জনগণ কারাগারে ঠাঁই পেতো। গোটা দেশে নিরপরাধ মানুষের শোকের ছায়া নেমে আসতো।
এই প্রেক্ষাপটে আমাদের উচিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সেই আচরণ করা, যা তারা আমাদের সঙ্গে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অবশ্যই আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। দলটির নেতা-কর্মীদের দ্রুত বিচার কার্যকর করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশাসনসহ দেশের সর্বস্তরে বিরাজমান আওয়ামী লীগের মদদদাতাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায়, গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগ ও আহত সহযোদ্ধাদের রক্ত বিসর্জন বৃথা হয়ে যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি—আওয়ামী লীগের প্রতি কোনো দয়া নয়। দ্রুত বিচারের কার্যক্রম শুরু করুন। পুনরায় বলছি, আমাদের আচরণ হবে ঠিক তেমন, যেমন আচরণ আওয়ামী লীগ আমাদের প্রতি করতো।”
4oহেডম