রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার কারণে ভারত (India) ও চীন (China)-এর ওপর আমদানি শুল্ক ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র (United States)। মার্কিন সিনেটে উত্থাপিত নতুন একটি বিল সরাসরি এই দুই দেশের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য প্রস্তাবিত হয়েছে, যারা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের প্রধান ক্রেতা হিসেবে কাজ করছে।
Firstpost–এর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রস্তাবিত এই বিলের অন্যতম প্রণেতা মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম (Lindsey Graham), যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)-এর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাদের এই উদ্যোগটিকে বলা হচ্ছে, মার্কিন বাণিজ্যনীতিতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা।
বিলের খসড়ায় বলা হয়েছে, যেসব দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরও রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী পণ্যের ওপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো যেতে পারে। এতে মূল টার্গেট করা হয়েছে চীন ও ভারতকে, যারা মিলিয়ে রাশিয়ার তেল রপ্তানির প্রায় ৭০ শতাংশ কিনছে।
মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মতে, এই দুটি দেশ মূলত রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতিকে সচল রাখছে। তাদের বাণিজ্যিক সহযোগিতার মাধ্যমেই রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অর্থিক সক্ষমতা পাচ্ছে। তাই এই বিল পাস হলে তা হবে ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া অন্যতম কঠোর বাণিজ্যিক পদক্ষেপ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিলটি কার্যকর হলে তা বৈশ্বিক বাণিজ্যিক সম্পর্কেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র-চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর। এর ফলে বিশ্ববাজারে আমদানি-রপ্তানির ধারা এবং শুল্কনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
তবে এখনো এই বিল সিনেটে চূড়ান্তভাবে পাস হয়নি। তবুও এর প্রস্তাবিত ধারা ও কড়া ভাষা থেকে স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র এবার কেবল নিষেধাজ্ঞার নীতিতে নয়, শুল্কের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগে আরও আগ্রাসী হচ্ছে।