জুলাই আন্দোলনকে ‘মবোক্রেসি’ বা জনতার সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে তার মূল লক্ষ্য ও প্রভাবকে বিকৃত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মব ভায়োলেন্স বা গণ-সন্ত্রাসের শিকড় বহু পুরনো—এবং তার সূচনা হয় বিহারি জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণের মধ্য দিয়ে। এরপর একে একে বিভিন্ন সময় ছাত্র, মুক্তিযোদ্ধা এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় বারবার এই সহিংসতার শিকার হয়েছে।
মাহফুজ আলম অভিযোগ করে বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সরাসরি ইন্ধনে গত ৫৩ বছর ধরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর মব হইসে।” তার ভাষায়, এই সহিংসতার ধারাবাহিকতাই প্রমাণ করে যে দেশের তথাকথিত ‘জনতার আদালত’, ‘জনতার মঞ্চ ‘৯৬’, ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা এবং শাহবাগ আন্দোলন—সবই মূলত মব জাস্টিস বা গণসন্ত্রাসের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, “মবের ডেফিনিশন স্ট্রেইচ করলে এই ঘটনাগুলাও মব ভায়োলেন্সের আওতায় পড়ে।”
এখানেই শেষ নয়, জুলাই বিপ্লবকে নিয়েও রয়েছে তার ক্ষোভ। তার অভিযোগ, “মুজিববাদী বাম এবং আওয়ামী লীগের কালচারাল গুন্ডারা” জুলাইয়ের আন্দোলনকে বিকৃত করে তা যেন ‘মবোক্রেসি’ ছিল, এমনভাবে প্রচার চালাচ্ছে। মাহফুজ আলম লিখেছেন, “জুলাই বিপ্লবকে এমনভাবে পোট্রে করা হইসে যেন এটা শেখ মুজিবের নাতি জয় এর কথামতই পরিচালিত মবোক্রেসি।”
তিনি আরও যুক্ত করেন, “জুলাইয়ের বিপ্লব যদি সত্যিই মবোক্রেসি হতো, তাহলে পুলিশ-আনসারবিহীন দেশ এক-দেড় মাস ধরে নিরাপদ থাকতো না।” তার মতে, এই আন্দোলন ছিল একেবারে ভিন্ন চরিত্রের—যেখানে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব দেশকে সাময়িক নিরাপত্তা দিয়েছে এবং সুশৃঙ্খলতা বজায় রেখেছে।
তার এই বক্তব্যে পরিষ্কার, তিনি জুলাই আন্দোলনের ভাবমূর্তি বিকৃতির বিরুদ্ধে এক ধরনের আদর্শিক ও রাজনৈতিক প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছেন।