গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান (Md. Rashed Khan) সরাসরি অভিযোগ করেছেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কেউ কেউ জাতির সঙ্গে ‘প্রথম বেঈমানি’ করেছেন—দল গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “দল করবেন ভালো কথা, কিন্তু সরকারে না গিয়ে দল করাটা তো হতে পারত।”
টকশোতে রাশেদ খান জানান, যখন আসিফ মাহমুদ (Asif Mahmud) উপদেষ্টা ছিলেন, তখন ছাত্র অধিকার পরিষদের কাউন্সিল চলছিল। সে সময় প্রার্থীদের ফোন করে বারবার টেক্সট করে কাউন্সিলে অংশ না নিতে বলেন তিনি। রাশেদের ভাষায়, “তুমি যেও না ওখানে, আমাদের সাথে থাকো—যা লাগে সব দিবো।” এই ধরনের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাশেদ।
তিনি আরও দাবি করেন, মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam) এবং নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) দীর্ঘদিন ধরে দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে গেছেন, এমনকি তাদের সঙ্গে একাধিকবার বসেছেনও। রাশেদের ভাষায়, “নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পদে থেকেই দল গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।”
রাশেদ খান মনে করেন, এই ধরনের কার্যকলাপ উপদেষ্টা পদের প্রতি অবমাননা এবং দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। তার অভিযোগ, এখনো পর্যন্ত এনসিপির (NCP) সাথেই ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত আছেন মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে থেকে যদি কেউ গোপনে দল গঠনের কাজ করেন, তা হলে সেটা জনআস্থার সাথে প্রতারণা। এর মাধ্যমে যে আস্থার ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছিল, সেটিই ভেঙে পড়ছে বলে মনে করেন রাশেদ।