অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান (Fazlur Rahman), বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens Party – NCP) নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘এই যে কইছে না, শাপলা না পাইলে ধানের শীষে ভোট করতে দিবে না। আমি কই, বাপ-দাদার নাম নেই চাঁন মল্লের বেয়াই। বিএনপির একটা ওয়ার্ড কর্মী যদি বাহির হয়, তোদের খুঁজেই পাওয়া যাইতো না। ধানের শীষকে বাতিল কইরা দিবা? এতো সাহস তোদের কই থেকে আসে?’
গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি অফিসে এক মতবিনিময় সভায় এসব বক্তব্য দেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক উত্তাপ, স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন।
তিনি বলেন, ‘আমি জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলি, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলি—এইজন্যই আমি খারাপ হয়ে গেছি? তারা তো বলে দেশটাকে আফগানিস্তান বানাবে। আমি তো আমার দেশ বাংলাদেশ বানাতে চাই, আফগানিস্তান না। মুক্তিযুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ হতো না। তাই আমি যদি এই দেশের সন্তান হই, আমার দায়িত্ব হয় এই দেশকে আগলে রাখা, পাকিস্তানে ফেরত নেওয়া না।’
বক্তব্যে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশের বাপের নাম মুক্তিযুদ্ধ, মায়ের নামও মুক্তিযুদ্ধ। আমরা এই দেশের সন্তান। দেশটাকে রাখবো না? শাসন করবে স্বাধীনতাবিরোধীরা? তা হবে না।’
এসময় তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman)-এর স্বাধীনতা ঘোষণা উদ্ধৃত করে বলেন, “I, Major Ziaur Rahman, hereby declare the independence of Bangladesh।” এরপর তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা তো এই দেশের দায়িত্ব পালন করি। অথচ সমস্ত জায়গা তারা দখল করে বসে আছে। কয় কি—দুই সাপের এক বিষ, নৌকা আর ধানের শীষ। নৌকাতো গেছে, এবার ধানের শীষকে বিদায় দিবা?’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তোমরা কেবল পাল্লা, শাপলা না দিলে ধানের শীষেও ভোট করতে দিবা না—এমন কথা কইছো?’
সভায় উপস্থিত ছিলেন অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাইদ আহমেদ, মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।