ভোটের মাধ্যমে উচ্চকক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য দেশের প্রতি ৩ টি আসনেই জন্য একজন প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করা যেতে পারে। যেমন উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ঢাকা ১ , ২ ও ৩ আসনের জন্য একজন উচ্চকক্ষের প্রতিনিধি। এই প্রতিনিধির নাম দলগুলিকে আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে (আগে থেকেই নাম দেওয়ার মধ্যে দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভাব হবে)। তবে এই প্রতিনিধিরা সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তারা নির্বাচিত হবে ওই তিন আসনে তার দলের নিম্নকক্ষের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের মাধ্যমে। এই তিন আসনের দলগত মোট ভোটের হিসাবে সে নির্বাচিত হবে।
নতুন পদ্ধতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে?
এই কাঠামো বাস্তবায়িত হলে উচ্চকক্ষের নির্বাচনে টাকা ও প্রভাবের জায়গা কমবে। কারণ প্রার্থী নির্বাচিত হবেন দলের ভোটের ভিত্তিতে, ব্যক্তির নয়। ফলে একদিকে যেমন বড় দলগুলো প্রভাব হারাবে, তেমনি স্থানীয় বা ছোট দলগুলোরও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। বিশেষত যেসব দল নির্দিষ্ট অঞ্চলভিত্তিকভাবে শক্তিশালী, তাদের উচ্চকক্ষে প্রবেশের পথ সুগম হবে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের ভোটের একটি সঠিক প্রতিফলনও সম্ভব হবে। কারণ, ভোটারদের এলাকার প্রতিনিধিরাই উচ্চকক্ষে তাদের হয়ে কথা বলবেন। জাতীয় নীতিনির্ধারণে এলাকার স্বার্থ প্রতিফলনের সুযোগ বাড়বে।
এছাড়াও, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ক্ষমতাও কিছুটা কমতে পারে । ফলে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা সহজ হবে, এবং গণতন্ত্র আরও স্থিতিশীল হতে পারবে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সহায়ক হতে পারে।
এই প্রস্তাবটি স্পষ্টভাবে একটি “ব্যালান্সড রিপ্রেজেন্টেটিভ ডেমোক্রেসি”র দিকে যাত্রার সূচনা হতে পারে। যে সমাজে ভোট শুধু সংখ্যার খেলা নয়, বরং প্রতিনিধিত্ব, বৈচিত্র্য ও জবাবদিহিতার প্রতিফলন, সেখানে এ ধরনের মডেল ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তবসম্মত ও শক্তিশালী কাঠামো হয়ে উঠতে পারে।