প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam) দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে, এবং এটি ঠেকানোর মতো কোনো শক্তি দেশে নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ইতিমধ্যে পূর্ণ গতিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। উদ্দেশ্য একটাই—শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মাগুরা শহরের পারন্দুয়ালীতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি ও একই এলাকার আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশে বর্ষা থাকে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষা শেষে দেখবেন পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী আমেজ নেমে আসবে। প্রার্থীরা ভোটের জন্য ঘরে ঘরে যাবেন, ভোট অফিস হবে সর্বত্র, আর সেই পরিবেশে কারও মনে কোনো সন্দেহ থাকলে সেটিও মিলিয়ে যাবে।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “যারা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য স্বাধীন দেশ এনে দিয়েছেন, তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এ ঐক্য অপরিহার্য।” তিনি জানান, জুলাই-আগস্টে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ‘খুনি বাহিনী’র হাতে নিহত হন মেহেদী হাসান রাব্বি, যিনি স্থানীয় ছাত্রদল নেতা ছিলেন। একই এলাকার আল আমিন ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। একদিনের ছুটিতে তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি এসেছিলেন।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “মাগুরার বাকি আট শহীদের কবরেও আমি পর্যায়ক্রমে যাব।” তার ভাষায়, এই শহীদরাই নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা—তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ মানুষ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছে, রাজনীতিতে নতুন সমঝোতার পথে হাঁটছে এবং সুন্দর একটি নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।