নিখোঁজের পাঁচদিন পর পূর্বাচল মসজিদ থেকে উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী নেতা মামুন

অপহরণের হুমকি পাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ও জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন (Abdullah Al Mamun), ওরফে কে এম মামুনকে অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পূর্বাচল সেক্টর ওয়ান এলাকার মসজিদ থেকে তাকে পাওয়া যায়।

জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের ফেসবুক পেজে ধারাবাহিক দুটি পোস্টে মামুনের সন্ধান ও উদ্ধারের খবর জানানো হয়। এক পোস্টে বলা হয়, “কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া জুলাই যোদ্ধা মামুন ভাই পূর্বাচল সেক্টর ওয়ান মসজিদে আছেন, প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের পাশে। তাকে উদ্ধারের জন্য রওনা দিচ্ছি।”

পরে আরেকটি পোস্টে জানানো হয়, “জুলাই যোদ্ধা মামুনকে উত্তরায় নিয়ে আসা হয়েছে। একটি সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি এখনও ট্রমার মধ্যে আছেন। প্রধান লক্ষ্য তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। ডিসি উত্তরা ও তার টিম মামুনকে উদ্ধার করে এনেছেন।”

তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদিক রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে পূর্বাচল জামে মসজিদ থেকে দুপুর ২টায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা হাসপাতালে আসছেন।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, মাওলানা মামুনুর রশীদকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছি। চিকিৎসার জন্য তাকে কুয়েত মৈত্রীর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তিনি কীভাবে নিখোঁজ হন।

মামুনের পরিবারের অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন, অর্থাৎ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি অচেনা নম্বর থেকে তাকে ফোন করে সরাসরি অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন সোমবার ভোরে তিনি রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। একই দিন তার নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।

এই ঘটনায় পরিবারসহ আন্দোলনের কর্মীরা গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছিলেন। অবশেষে পাঁচদিন পর মামুনের উদ্ধারের খবর মিললেও তার নিখোঁজ থাকার ঘটনাটি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *