জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সংঘটিত ১৭ অক্টোবরের ঘটনার দায় নিজেদের ওপর নিতে নারাজ জুলাই যোদ্ধারা (July Fighters)। তাদের দাবি, ওইদিন কিছু বহিরাগত ব্যক্তি সেখানে অনুপ্রবেশ করে মারামারি ও ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে। নিজেদের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিকে বিশৃঙ্খলা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission)-এর সঙ্গে এক বৈঠকে জুলাই যোদ্ধারা এই অভিযোগ তোলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ (Ali Riaz), সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে জুলাইযোদ্ধাদের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়—তাদের মধ্যে ছিলেন মো. সোহাগ মাহমুদ, কামরুল হাসান, মো. আল-আমিন, মুস্তাঈন বিল্লাহ হাবিবী, হাসিবুল হাসান জিসান, মারুফা মায়া, আহাদুল ইসলাম, মাজেদুল হক শান্ত, মো. সাগর উদ্দিন, মো. দুলাল খান, মো. নাহিদুজ্জামান, ইমরান খান ও নুসরাত জাহান।
জুলাইযোদ্ধারা কমিশনকে জানান, ১৭ অক্টোবরের সমাবেশে তারা কোনো প্রকার সহিংসতা ঘটাতে যাননি; বরং তাদের ন্যায্য দাবি জানাতে শান্তিপূর্ণভাবে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু “কিছু বহিরাগত ব্যক্তি” সেখানে ঢুকে মারামারি ও ভাঙচুর শুরু করে, যার ফলে ঘটনাটি অপ্রত্যাশিতভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাদের দাবি, ওই বহিরাগতদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জনকে তারা শনাক্ত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাইযোদ্ধারা এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সেদিন দায়ের হওয়া চারটি মামলা প্রত্যাহারে কমিশনের সহায়তা কামনা করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, কমিশন এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করবে এবং নিরপরাধ অংশগ্রহণকারীদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
বৈঠকে জুলাইযোদ্ধারা আরও জানান, নিজেদের নিরাপত্তা ও পরিবারের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা একটি সরকারিভাবে অনুমোদিত পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) চান। পাশাপাশি তারা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও ঈদের পর থেকে অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এজন্য দেশের সব হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাঠানোর অনুরোধ করেন তারা।