“এই নির্বাচনে আমি শুধু তাহসিনা রুশদী লুনা নই, আমি ইলিয়াস আলীর প্রতিনিধি”

“ব্যক্তির চেয়ে দল, আর দলের চেয়ে দেশ বড়”—এই মর্মবাণী সামনে রেখে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাহসিনা রুশদী লুনা (Tahsina Rushdi Luna)। নিখোঁজ বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী (M Ilias Ali)–এর সহধর্মিণী এবং সিলেট-২ (ওসমানীনগর–বিশ্বনাথ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এ বার্তা দেন।

ওসমানীনগরের শেরপুর নতুনবাজারে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুনা বলেন, “দলের ভেতরে অনেকের বেদনা থাকতে পারে—কেউ পেয়েছেন, কেউ পাননি, কেউ পেয়েও আরও চেয়েছেন। কিন্তু বড় দলে সবার সব চাওয়া পূরণ সম্ভব নয়। এখন লক্ষ্য একটাই—বিএনপিকে বিজয়ী করা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াতারেক রহমান–এর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠন করা।”

তিনি বলেন, “ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পর দেশনেত্রীর নির্দেশে আমি এই আসনের দায়িত্ব নিই। সেই থেকে আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ থাকব। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের মানুষ আমার কাছে একটি আমানত। হয়তো ইলিয়াস আলীর মতো দিতে পারিনি, কিন্তু আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে আপনাদের সঙ্গে ছিলাম।”

সরকারের সমালোচনায় লুনা বলেন, “ইলিয়াস আলীর করা উন্নয়নকাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত করেনি বর্তমান সরকার। বরং সেই উন্নয়নের অর্থ লুট করে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি কিনে আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। অথচ খালেদা জিয়া, তারেক রহমান—আমাদের কোনো নেতারই বিদেশে বাড়ি নেই, পালিয়ে যাওয়ার রাস্তাও নেই। আমরা এখানেই, আপনাদের সঙ্গে আছি, থাকব ইনশাআল্লাহ।”

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে আমি শুধু তাহসিনা রুশদী লুনা নই, আমি ইলিয়াস আলীর প্রতিনিধি। আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে তা যেন ইলিয়াস আলীর প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে প্রমাণ করেন। যখনই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, দেশের উন্নয়ন হয়েছে। তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের মানুষ ন্যায়বিচার ও উন্নয়ন ফিরে পাবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মাসুদ এবং পরিচালনা করেন সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন:
সাবেক জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ, সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম ও শাহ এহিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দল, ছাত্রদল এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কয়েস আহমদ চৌধুরী, সহ-যুগ্ম সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ, দপ্তর সম্পাদক মো. ইমাদ উদ্দিন লিলু, যুবদলের তাজুল মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের রকিব আলী, ওলামা দলের হারুনুর রশীদ, ছাত্রদলের জুয়েব আহমদ—সবাই একসঙ্গে ঐক্যের বার্তা দেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *