বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)–এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন, অন্যদিকে একই সময়ে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) তাদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বসেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। দলীয় সূত্রের দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের নতুন ঘোষণার প্রেক্ষাপটে তাৎক্ষণিক কৌশল নির্ধারণেই এই বৈঠকের আয়োজন।
অন্যদিকে, একই সময় লিগ্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে নিয়ে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকও চলছে বলে জানা গেছে। সেখানে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু—প্রধান উপদেষ্টার সদ্য দেওয়া ভাষণ এবং তার প্রভাব বিশ্লেষণ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আসছে ফেব্রুয়ারিতেই একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি, গণভোটের প্রচলিত কাঠামো পরিবর্তন করে এবার একটির পরিবর্তে চারটি প্রশ্ন রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সরকার “জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫”–এর গেজেট প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই আদেশ জারি করার পর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে তা প্রকাশ করা হয়।
একই দিনে বিএনপি ও জামায়াতের এই সমান্তরাল বৈঠক রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা সৃষ্টি করেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর বিরোধী শিবিরে যে নড়াচড়া শুরু হয়েছে, তা আগামী দিনের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।


