রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান (Dr. Zahed Ur Rahman) বলেছেন, ব্যারিস্টার আরমান (Barrister Arman) নিখোঁজ থাকার সময় তাকে ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী তেমন ভূমিকা রাখেনি। বরং ২০১৪ সালের পর নিজ দলের নেতাদের ফাঁসি কার্যকরের পর দলটি কার্যত ‘গর্তে ঢুকে পড়েছিল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষ্য, আরমানকে ফিরিয়ে আনার লড়াই প্রধানত করেছেন সানজিদা তুলি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) নিজের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, সানজিদা তুলি ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে সোচ্চার ছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করেছেন। “তারা যে কী পরিমাণ ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন, তা আমরা চোখে দেখেছি; কারও গল্প শোনার প্রয়োজন নেই,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তুলি ও তার মা–সহ আরও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই লড়াই চালিয়ে গেছেন। এই দাবির মধ্যেই ব্যারিস্টার আরমান এবং ব্রিগেডিয়ার আযমী (Brigadier Azmi)-র মুক্তির বিষয়টিও ছিল। গুম হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির বিষয়ে সেখানে দাবি উত্থাপন করা হয়। “আবারও বলছি, আযমী ও আরমানের মুক্তির লড়াই জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) করেনি—এ লড়াই করেছেন তুলি,” বলেন বিশ্লেষক।
তার মতে, আন্দোলনে রাজনৈতিক দলও ছিল, ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকেই সাহস নিয়ে এগিয়ে এসেছেন; তবে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা ছিল সানজিদা তুলির।


