ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যেই মাসুদ আলম (Masud Alam) নামের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের একটি ফোনালাপ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মাসুদ আলম একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন এবং বলেন, “এখানে শিবির আছে।” তার এই বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয় বিভ্রান্তি ও নানা জল্পনা।
এ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের জবাবে গণমাধ্যমে মুখ খোলেন ডিসি মাসুদ। তার ভাষায়, “আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। উনি জানতে চাইছিলেন, এখানে কারা বেশি অবস্থান নিয়েছে। আমি বলেছি, এখানে শিবির আছে, উৎসুক জনতা ভিড় করছে, আরও ফোর্স দরকার। আমি তো মিডিয়াকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেইনি। এটা ছিল আমার ব্যক্তিগত ফোনালাপ।”
তিনি দাবি করেন, তিনি কোনো নেতিবাচক বা পক্ষপাতমূলক মন্তব্য করেননি এবং ঘটনাস্থলে যে বিক্ষোভ হচ্ছিল, সেটি মোকাবিলার চেষ্টা করছিল পুলিশ। “কিন্তু একটি গোষ্ঠী বিষয়টিকে অন্যদিকে ড্রাইভার্ট করার চেষ্টা করছে,” অভিযোগ করেন মাসুদ।
এছাড়া ডিসি মাসুদ বলেন, “আমরা সর্বদা চেষ্টা করি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। আমরা তো কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করি না। ঢাকায় আরও অনেক আন্দোলন হয়েছে, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি সেগুলো শান্তভাবে মোকাবিলা করতে।”
ভিডিওটি ব্যাপক ছড়িয়ে পড়া এবং সামাজিকমাধ্যমে এনিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও মাসুদ আলমের ব্যাখ্যায় উঠে আসে কিভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল একটি গোষ্ঠী।


