ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় মর্মান্তিক এক ঘটনায় নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–র (Noida International University) ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় বিটা-১ সেক্টরের একটি ভাড়া ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। সংবাদ প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।
নিহত শিক্ষার্থী সাহরিয়ার, যিনি মনু বিপরা নামেও পরিচিত, সিরাজগঞ্জ শহরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার দিন একটি আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দেখতে পায় ঘরের দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ। বাড়ির মালিক জানালা দিয়ে উঁকি মেরে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পরে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তদন্তকারীরা জানান, গত ১৬ নভেম্বর সাহরিয়ার একজন নারীর সাথে ওই বাড়িতে উঠেছিলেন। ওই নারী নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন রূপা নামে এবং দাবি করেছিলেন তিনি বিহারের মাধুবাণী এলাকার বাসিন্দা। বাড়ির মালিকের কাছে তারা নিজেদের বিবাহিত দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন এবং মাসিক ৮,০০০ টাকায় ঘর ভাড়া নেন। ১৭ নভেম্বর থেকে তারা সেখানে থাকতেন।
বাড়ির মালিকের ভাষ্য, রূপা ২১ নভেম্বর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আর ফিরে আসেননি। সেই সময় থেকেই সাহরিয়ারের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়, যা তাকে আরও সন্দিহান করে তোলে। পরে দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় মরদেহ দেখে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
স্থানীয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনোদ কুমার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার করা যায়নি। সেই কারণে রূপার হঠাৎ চলে যাওয়া, সাহরিয়ারের ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া—সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নিহতের পরিবারকে বাংলাদেশে খবর পাঠানো হয়েছে।


