আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কি নির্বাচনের আগে দেশে ফিরবেন? দলীয় নেতাকর্মীদের বড় অংশ যেখানে তার দ্রুত প্রত্যাবর্তনের আশা করেন।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক জাহেদ উর রহমান স্পষ্টভাবে বলছেন, নির্বাচনের আগে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন না, এবং এটিই এখন তাঁর সবচেয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ডা. জাহেদ উর রহমান তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে আলোচনা ছড়াচ্ছে যে তারেক রহমান দেশে না ফিরলে নির্বাচন নাও হতে পারে। এটা এক ধরনের মতলববাজি। উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা ছড়ানো।
বিএনপি বা তারেক রহমান কেউই নির্বাচন ঠেকাতে চান না। বরং দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে,নির্বাচন বর্জন করলে বা নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা বাড়লে লাভবান হবে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক শক্তি।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়—এখানে জড়িত রয়েছে নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক স্থিতি এবং আইনগত জটিলতা। তারেক রহমান চাইলে আজ–কালই দেশে ফিরতে পারতেন। কিন্তু কিছু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় আছে,যা তিনি নিজেও প্রকাশ করতে পারেন না। ফলে ফিরে আসা এখন তাঁর হাতে নেই এককভাবে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের সাম্প্রতিক স্ট্যাটাস, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে সবকিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তা মানুষের মধ্যে সন্দেহ বাড়ালেও বাস্তবতা হলো,রাজনীতির কিছু বিষয় কখনোই প্রকাশ্যে বলা যায় না।
কিছু মহল দাবি করছে—তারেক রহমান দেশে ফিরতে না পারলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তবে জাহেদ উর রহমান এই ধারণাকে ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেন। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে কী হবে? জামায়াতসহ কয়েকটি দল জিতে ক্ষমতায় যেতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ আরও কঠিন হবে। তাই বিএনপি নির্বাচন বহিষ্কার করার প্রশ্নই আসে না।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে না পারলেও বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে।
জাহেদ উর রহমান মনে করেন, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর বা ভোটের কাছাকাছি সময়ে দেশে ফিরে এলে রাজনৈতিক হাইপ বাড়বে, যা বিএনপির জন্য সুবিধাজনক।
তিনি বলেন, তাঁর না ফিরলেও নির্বাচন হবে, বিএনপি অংশ নেবে—এটাই যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তব সিদ্ধান্ত।


