প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং প্রবীণ সম্পাদক নুরুল কবির-এর ওপর সাম্প্রতিক হা’\ম’\লা ও অ’\পপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে এ বক্তব্য দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ডা. শফিক বলেন, “স্বাধীন গণমাধ্যম রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা আমাদের সবাই মিলেই নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদের আমলে যেভাবে গণমাধ্যমের উপর নগ্ন হা’\ম’\লা চালানো হতো, সেই সংস্কৃতিতে আমরা ফিরতে চাই না।”
একই সঙ্গে তিনি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই। ঘৃণামূলক প্রচারণা থেকে বিরত থাকুন।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিদেশি হাইকমিশন ও কালচারাল সেন্টারে ভা’\ঙ’\চু’\র ও অ’\গ্নি’\সং’\যোগের ঘটনাও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননা জঘন্য অপরাধ হলেও কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। ময়মনসিংহের ভালুকায় এক হি’\ন্দু যুবককে পি’\টিয়ে ও পু’\ড়িয়ে হ’\ত্যা করা হয়েছে—এই ঘটনাকে তিনি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন।
তার বক্তব্য, “বিচার নিজ হাতে তুলে নেওয়া ইসলামের শিক্ষা নয়। মূলধারার কোনো ইসলামপন্থী দল বা সংগঠন এই পন্থাকে সমর্থন করে না। বরং আমাদের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত স্যাবোটাজের অংশ, যাতে সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা ছড়ানো হয়।”
জামায়াত আমির প্রশ্ন তুলেছেন— কেন আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়নি? কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার দীর্ঘ সময় পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে? তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দোসর স্যাবোটাজ পরিকল্পনায় জড়িত থাকতে পারে।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান, প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনুন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জবাবদিহিমূলক ও সক্রিয় করুন।”
শরিফ ওসমান হাদির প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিক বলেন, “দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিভাজনের সুযোগ নিয়ে আধিপত্যবাদ আমাদের ওপর চাপিয়ে বসে। আমরা যদি আজ ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে হা’\দির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
সবশেষে তিনি বলেন, “শহীদ হা’\দির রক্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধ করুক। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন, আমাদের জন্মভূমিকে হেফাজত করুন। আল্লাহ হাফেজ।”
