রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থক সাঁইধারা গ্রামের কয়েকটি হিন্দু পরিবারসহ ১৫টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সাঁইধারা গ্রামের ভুক্তভোগী সুশীল চন্দ্র প্রামানিক বাদী হয়ে বাগমারা মামলাটি করেছেন।
মামলায় নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী বাচ্চু, ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার, মফিজ উদ্দিন, লেকেন আলী, মোশারফ আলী, আকতার হোসেন, আজিজুর রহমান, ইসাহাক আলী, আজাহার আলী, মোজাফ্ফর হোসেন, কামরুল হাসান, পিন্টু, সাইদুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আমির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও আজাদ মাস্টারসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে এবং সরেজমিনে সাঁইধারা গ্রামে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন মিলে একটি কমিটি গঠন করে বাগমারার নরদাশ ইউনিয়নের যশো বিলে প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষ করে আসছিলেন। ওই কমিটির সদস্য সাঁইধারা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার গ্রামের কৃষকদের জন্য দশ লাখ টাকা প্রকল্প থেকে নেন। কিন্তু ওই গ্রামের যে সব কৃষক বিএনপির প্রার্থী ডি. এম জিয়াউর রহমান জিয়ার পক্ষে রয়েছেন তাদের টাকা না দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছিল। এ কারণে রোববার রাত ৮টার দিকে গ্রামের কয়েকজন কৃষক তাদের পাওনা টাকার দাবিতে আব্দুল জব্বারের বাড়িতে যান।
এই ঘটনার জেরে নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী বাচ্চু ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বারসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাত ১০টার দিকে সুশীল চন্দ্র প্রামানিক, শ্যামল কুমার, আব্দুল মান্নান, দুলাল হোসেন, মোস্তাক, মামনুর রশিদ, আকবর আলী, নওশাদ আলী, আব্দুস সামাদ, আলা উদ্দিন, আজগর আলী, মানিকুল্যা, আব্দুল আজিদ, আশরাফুল ইসলাম ও আহসান আলীর বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত এক প্রার্থীর অনুসারী বলে মামলার বাদী সুশীল চন্দ্র প্রামানিক এবং ভুক্তভোগী মোস্তাক আহম্মেদ, আব্দুল মান্নান, সাজ্জাদ হোসেন, দুলাল হোসেন ও মজনু রহমানসহ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী ডি.এম জিয়ার সমর্থকদের ১৫টি বাড়ির দরজা-জানালা ও বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর, লুটপাট ও কয়েকটি বাড়ির টিনের চালায় অগ্নিসংযোগ করে।
এ বিষয়ে থানার ওসি সাইদুল আলম বলেছেন, বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সুশীল চন্দ্র প্রামানিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


