আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) নেতৃত্বাধীন ৮ দলীয় জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizen Party)। এই ঘোষণা আসতেই ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের (Abdul Kader)।
রোববার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কাদের লেখেন, “আগস্টের ৫ তারিখ রাতে জামায়াত নেতার বাসায় মিটিং দিয়ে যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটা আজকে এসে পূর্ণতা পাইছে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাদেরকে জানাই অভিনন্দন। তবে নাহিদ ইসলাম’রা মানুষের আবেগ নিয়ে এইভাবে প্রতারণা না করলেও পারতেন।”
উল্লেখ্য, এনসিপি ছাড়াও জামায়াতের নেতৃত্বাধীন এই ৮ দলীয় জোটে যোগ দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, জাগপা ও আরও কয়েকটি ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী দল।
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তিনি জানান, আরও কিছু রাজনৈতিক দল এই জোটে যুক্ত হতে চাইলেও ‘বর্তমান বাস্তবতায়’ নতুন কাউকে আর অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির কর্নেল অলী আহমেদ বীর বিক্রম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের আহমদ আব্দুল কাদের, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানসহ ৮ দলের শীর্ষ নেতারা।
তবে এনসিপির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের ভেতরেই মতবিরোধ চলছে। একাধিক নেতা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন, কেউ কেউ দলীয় কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
আব্দুল কাদেরের মতো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান–সংশ্লিষ্ট তরুণ নেতাদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে দেয়, এনসিপির জামায়াতঘেঁষা অবস্থান কেবল রাজনৈতিক মেরুকরণই নয়, আদর্শিক দ্বন্দ্বও উস্কে দিয়েছে।


