দেশি-বিদেশি সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন। এক বিবৃতিতে তিনি সারা দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গত ৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে হটানো হয়েছে। এরপর সমগ্র বাংলাদেশে নিবির্চারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ভয় ও ত্রাসের রাজস্ব সৃষ্টি করা হয়। স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে কুক্ষিণত করে নৈরাজ্যবাদীরা। সারা দেশে পুলিশের থানাগুলোতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশবাহিনীর সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়।
বিবৃতিতে নানক বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে এনে ইতিহাসের ভয়াবহতম সন্ত্রাসের বিস্তার ঘাটানো হয় এবং সেটাকে নৈতিক বৈধতা দেয় সন্ত্রাসভিত্তিক রাজনৈতিক অপশক্তি। তাদের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের শিকার হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সনাতনী ধর্মবিলম্বী জনগোষ্ঠীসহ দেশের সাধারণ মানুষ। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারায়, অগণিত মানুষ আহত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সহিংসতায় জড়িতদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে ১০ হাজারের মতো দলীয় স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের ঘটনার পরে একে একে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম স্মৃতি মেহেরপুরের আম্রকানন মুজিব নগর যাদুঘর, জাতির পিতার ভাস্কর্য, প্রতিমূর্তি, জয়নুল আবেদীনের ভাস্কর্য ভাঙ্গার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ধরনের হীন অপচেষ্টা বাঙালির ঐতিহ্য ও চেতনার মূলে আঘাত। যা বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ব্যথিত ও মর্মাহিত করেছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কমকাচের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চেয়েছিলাম ভদ্রলোক সন্মোধন করে কথাটা লিখতে, পরে মনে পড়ে গেল কিছুদিন আগে নেটে পাওয়া তার এক অশ্লীল ছবির কথা, তাই জাহাঙ্গীর কবির নানককে নানক সন্মোধন করে বলি! উনার লেখা পড়ে বুঝলাম উঁই এক চোখে দেখেন, সম্ভবত মাথার মগজও এক পাশে কাজ করে অন্য পাশে কাজ করে না।উনি সব একচোখ দিয়ে দেখেছেন।ছাত্র-জনতা পুলিশ পিটিয়েছেন, সেটা উঁই জানেন, দেখেছেন কিন্তু পুলিশ যেভাবে উন্মাদের মতো গুলি ছুড়ে এতোগুলি ছাত্র-জনতা খুন করল তা উনার লেখায় উল্লেখ নাই।মুজিবের মূর্তি ভাঙ্গায় উনার হৃদয় ব্যথিত হয়েছে কিন্তু মুজিবের ৭২-৭৫ শাসনামনে কি অবর্ণনীয় অত্যাচার লুটতরাজ হয়েছিল সে খবর মনে হয় উনার মগজের নিউরোন সেলে নাই। বিগত ১৬ বছরে হাসিনা এই দেশটাকে ফোকলা করে দিয়েছে,এক মাফিয়া সরকার গঠন করে শেয়ার বাজার ধ্বংস করেছে, অত্যাচার জুলুমের কোন সীমা ছিলনা। শেখ হাসিনা পর পর তিনবার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশকে ভারতের কররাজ্যে পরিনত করেছিল, সেই কথা তার কলমে নাই, নিউরোন সেলেও নাই এমনকি তারচ বিশ্বাসেও নাই। উনার আসলে এন্টিআওয়ামীলীগ ভ্যক্সিন দেয়া দরকার, উনি মানুষ থেকে এতোটাই আওয়ামীলীগ হয়ে গেছেন যে গনতন্ত্রের কোন ভ্যক্সিনই উনার শরিরে মগজে কাজ করবে না। তবুও বলি, উনার চিকিৎসা দরকার! উনার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আছে, যেমন পিলখানার অভিযোগ, হোটেল শেরাটন হোটেলের সামনে গান পাউড়ার দিয়ে মানুশজ পোড়াবার অভিযোগ, এগুলো নিয়ে লিখলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে বলে লিখলাম না। তবে সত্য মানুষ জানে।