কি দাবি জানাচ্ছি , কেন জানাচ্ছি , কিভাবে তা বাস্তবায়ন সম্ভব এসব কিছু না জেনে শুধু দাবি জানিয়ে রাস্তায় গ্যাঞ্জাম করতে থাকলে সেই গ্যাঞ্জাম আর কোথায় কোথায় গ্যাঞ্জাম তৈরী করবে আর তার ফায়দা কে তুলবে তা শুধু সময়ই বলে দিবে।
আবার বাম-ডান-মধ্য সবাইকে মধ্যম আঙ্গুল প্রদর্শন করেও আপনি খুব একটা লাভবান হতে পারবেন বলেও মনে হয় না। জুলাই – আগস্ট আন্দোলনের সপক্ষের সব শক্তিকেই উন্মত্ততা, বিপ্লবী জোশ বা উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিহার করে সামনে এগিয়ে যাবার পথ বের করতে হবে।
আবার সব কিছুর মধ্যেই ষড়যন্ত্র খুঁজেও তেমন কোনো লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে ১৫ বছর ধরে বঞ্চিত একটি জনগোষ্ঠী তাদের বৈষম্য, বঞ্চনা নিরসনের দাবি জানাতেই পারে। তাদের দাবি নিয়ে তারা সামনে এগিয়ে আসতেই পারে। তবে তা হতে হবে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে। তাদেরকেও মনে রাখতে হবে আপনার যৌক্তিক দাবিকে অস্ত্র বানিয়ে অন্য কেউ ফায়দা লুটতে যাচ্ছে কিনা। আর ক্ষমতাসীনদেরকেও বুঝতে পারার সক্ষমতা থাকতে হবে কোনটা ন্যায্য দাবি আর কোনটা ফায়দা লোটার দাবি। সেটুকু বোঝার যোগ্যতা , সেটুকু বোঝার সক্ষমতা তাদের অবশই থাকা উচিত।
যেদিন আমরা বুঝতে পারবো কেন জুলাই – আগস্টের আন্দোলন সফল হয়েছিল, সেই আন্দোলনে কার কি ভূমিকা ছিল, কার কতটুকু অবদান আর সেই আন্দোলনের সফলতার আলোকে যেদিন আমরা যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে পারবো, সেদিন আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। সেইদিনই আমরা সব পক্ষেরই স্বপ্নে পাওয়া দেশ সংস্কারের স্বপ্ন থেকে মুক্ত হয়ে বাস্তবতার আলোকে দেশকে গঠন করতে সক্ষম হবো।
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের মতো অবস্থা যেন তৈরী না হয় সেবিষয়ে সচেতন থাকতে হবে সব পক্ষকেই।