ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশন: নিষিদ্ধ সাকিব

চলতি মাসের শুরুর দিকে বোলিং পরীক্ষায় সাকিবের অ্যাকশন অবৈধ হওয়ায় সাকিব আল হাসানের বোলিং নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে ইসিবি’র এই নিষেধাজ্ঞার কারনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, বিপিএলসহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোতেও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন তিনি।

ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সন্দেহজনক ও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং নিয়ে একটি নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একটি জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন যদি একজন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী করা হয়, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরোপ করবে।’

শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নয়, অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে কী হবে সেটাও বলা আছে একই অনুচ্ছেদে, ‘অতিরিক্ত কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সব জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন এবং তাদের অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। আইসিসি এবং জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’

আইসিসির এই ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাকিবের বোলিং ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যেহেতু নিজেদের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করেছে, তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই অন্য সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডের অধীন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায়ও তাঁর বোলিংয়ের অনুমতি মিলবে না বলেই মনে করছেন সংস্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য সাকিব ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটির পরীক্ষাকেন্দ্রে। প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনের ক্ষেত্রে অ্যাকশন পরীক্ষা করানোর জন্য আইসিসি স্বীকৃত অন্যতম কেন্দ্র এটি। ২০১৪ সালে লাফবরো ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল ক্রিকেট পারফরম্যান্স সেন্টারকে স্বীকৃতি দেয় আইসিসি। কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টার এবং চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র ইউনিভার্সিটির পর এটি আইসিসির চতুর্থ বোলিং টেস্ট সেন্টার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *