ঠোঁট সেলাই, গোপন বন্দিশালা, সিমেন্টে বেঁধে নদীতে ফেলা- গুম কমিশনের প্রতিবেদনে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র

অন্তত চারটি বৈশিষ্ট্য থাকায় এসব ঘটনাকে গুম হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে কমিশন। এগুলো হচ্ছে, ভিকটিমের স্বাধীনতা হরণ, রাষ্ট্রীয় বাহিনী বা কর্তৃপক্ষের ঘটনার সাথে জড়িত থাকা, ভিকটিমের অবস্থান সম্পর্কে তার পরিবার বা সমাজকে না জানানো এবং ভুক্তভোগীকে কোন আইনি সুরক্ষা না দেয়া। গুমে অংশ নিয়েছে একাধিক বাহিনী কিন্তু পরিচয় দিয়েছে অন্য বাহিনীর।

সাধারণত সাদা পোশাকে ভুক্তভোগীদের তুলে নেয়ার পর নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্য এটা করা হত। অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা এবং মুক্তি এই পাঁচটি ভাগে সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল উপায়ে গুমের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বের দায় অর্থাৎ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হুকুম ছাড়াও এসব গুম সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অভিযানের মধ্যে দিয়েও। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুম কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন থেকে এসব ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। কমিশন আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ আরেকটি প্রতিবেদন জমা দেবে এবং পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরিতে আরো এক বছর সময় লাগবে। 

গুমের পর নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে তার অনেক বিবরণ কমিশন তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে পারেনি। প্রতিবেদনের ‘প্রকাশযোগ্য অংশ’ গণমাধ্যমকে সরবরাহ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। তারপরও অবশ না করে ভিকটিমের ঠোট সেলাই করে দেওয়া, মাথায় গুলি করে সিমেন্টের বস্তা বেঁধে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া, পেটানো, বন্দীশালায় স্পর্শকাতর অঙ্গে বৈদ্যুতিক শক, লাশ চলন্ত ট্রেন বা বাসের সামনে ফেলে দেওয়ার মত লোমহর্ষক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

নদীতে ঝাঁপ দিয়েও নিস্তার মেলেনি ভিকটিমের। তাকে উদ্ধার করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে জোরপূর্বক গুমের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে র‌্যাব, পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি), এবং সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) ইউনিটগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। ছিল জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)-এর মত প্রতিষ্ঠানও। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা  গেছে, পুরো অভিযান সরাসরি তাদের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। তবে নিম্নপদস্থ নিরাপত্তাকর্মীদের দাবি, তারা অনেক ক্ষেত্রেই জানতেন না, তারা কাকে আটক করেছে বা কেন করেছে।

অন্যদিকে দেশের এবং আন্তর্জাতিক আইনে গুমের শাস্তির বিধান থাকলেও অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দেশের বাইরে পালিয়ে গিয়ে জবাবদিহিতা এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কমিশনের প্রতিবেদন বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরের এক হাজার ৬৭৬টি জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়। কমিশন পর্যালোচনা করেছে ৭৫৮টি অভিযোগ। ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ১৩০টি গুমের ঘটনা ঘটে এবং ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ২১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। 

কাউকে গুম করার ক্ষেত্রে দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। অনেক সময় প্রথমে কাউকে আটক করে নির্যাতন করে অন্যদের নাম আদায় করা হতো। এরপর তাদেরও ধরে এনে নির্যাতন করা হতো। পরে এদের সবাইকে গুম করা হতো। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি বা নেতার সরাসরি নির্দেশেও গুম ও নির্যাতন করা হতো। উদাহরণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার সময় তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদের স্বীকারোক্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে। গুমের ক্ষেত্রে ভিকটিমদের অবস্থান চিহ্নিত করতে মোবাইল প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হতো। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার (এনএমসি) এবং পরবর্তীতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) মোবাইল নজরদারি পরিচালনা করেছে বলে কমিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

এরপর টার্গেট করা ব্যক্তিকে অপহরণ করা হতো। অপহরণকারীরা নিজেদের ‘প্রশাসনের লোক’ বা আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি) অভিযান চালিয়ে নিজেদের র‌্যাব বলে দাবি করতো বা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) নিজেদের ডিজিএফআই হিসেবে পরিচয় দিতো। অপহরণের ঘটনা ঘটত সাধারণত রাতের বেলা। ভিকটিমের বাড়ি বা রাস্তা থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক ‘হায়েস’ ধরনের বড় গাড়িতে তুলে নেয়া হতো। গাড়িতে তোলার পরপরই ভিকটিমদের চোখ বাঁধা হত এবং হাতকড়া পরানো হত। অপহরণের পুরো ঘটনাটি এতটাই দ্রুত ঘটতো যে আশেপাশে থাকা মানুষ বুঝতেও পারতো না যে কাউকে অপহরণ করা হয়েছে। আটক করার পর ভুক্তভোগীদের সাধারণত গোপন অন্ধকার কক্ষে রাখা হতো এবং সেখানেই তাদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালানো হতো বলে অভিযোগ করেছে কমিশন।

আটকের সময়কাল কখনো ৪৮ ঘণ্টা থেকে কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত হতো বলে কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এমন আটটি গোপন কারাগারের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে। এগুলো ডিজিএফআই, র‌্যাব, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) পরিচালনা করতো। কমিশন ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস পরিদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে র‌্যাব ইউনিট, ডিবি সদর দপ্তর এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অফিস।

এসব আটককেন্দ্রের মধ্যে কাঠামোগত মিল পাওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন। কমিশনের ধারণা, পুরো বিষয়টি কোন একটি কেন্দ্র থেকে পরিকল্পনা ও তদারকি করা হতো। তদন্তে দেখা গেছে, কিছু কারাগার এখনও অক্ষত রয়েছে, অনেকগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সাধারণত র‌্যাব ও ডিজিএফআই-এর বিভিন্ন স্থাপনায় এসব নির্যাতনের সব বন্দোবস্ত ছিল। তবে সেনাবাহিনীর পরিচালিত বন্দিশালাগুলোয় নির্যাতনের জন্য বিশেষ যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হতো, যার মধ্যে ছিল সাউন্ডপ্রুফ কক্ষ এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের জন্য ডিজাইন করা বিভিন্ন যন্ত্র। গুমের শিকারদের বেশিরভাগ সময় হয় মেরে ফেলা হতো, নাহলে অপরাধী হিসাবে বিচার ব্যবস্থায় সোপর্দ করা হতো। আবার অনেক ভিকটিমদের কোন অভিযোগ ছাড়াই ছেড়ে দেয়া হতো।

বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ গুম হতো বেশি। সেজন্য কাঞ্চন ব্রিজ ও পোস্তগোলা ব্রিজ ব্যবহার করা হতো। কমিশনকে এক সাক্ষী জানান, র‌্যাবের একটি ‘ওরিয়েন্টেশন; সেশনে তাকে দুজন ভিকটিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনা দেখানো হয়েছিল। এক সেনা সদস্য জানান, তাকে একটি লাশ নিয়ে ঢাকার রেললাইনের ওপরে রেখে ট্রেনের অপেক্ষা করতে বলা হয় যেন ট্রেনের চাপায় লাশটি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আরেক ভুক্তভোগীকে সড়কে চলন্ত গাড়ির সামনে ফেলে দেওয়ার হলেও গাড়িটি পাশ কেটে যাওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। গুমের ঘটনাগুলো বিভিন্ন বাহিনী এতটাই আলাদাভাবে ও সুসংগঠিত উপায়ে পরিচালনা করতো যে, এক দল অপহরণ করলে, অন্য দল আটকের কাজ করতো এবং তৃতীয় দল হত্যা বা মুক্তি দিতো। একজন ভিকটিমের ফোন রেকর্ডে জানা যায়, তাকে প্রথমে ডিজিএফআই-এর একটি সেলে রাখা হয়, এরপর ঢাকার র‌্যাবের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষে তাকে চট্টগ্রামে র‌্যাব-৭ কর্তৃক গ্রেফতার দেখানো হয়। এসব কিছুর পেছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল ভিকটিমদের নির্মূল করা এবং লাশ এমনভাবে সরানো যেন সেগুলো পুনরুদ্ধার বা শনাক্ত করা না যায়। 

অন্যদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে ২০১৫ সালে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে যে নির্জন স্থানে রাখা হয়েছিল সেখানে টিএফআই (টাস্ক ফোর্স অব ইন্টারোগেশন) লেখা কম্বল ছিল, সেই সময়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধানে টিএফআই পরিচালিত হতো। কমিশনের দাবি, র‌্যাব গোয়েন্দা শাখা যারা এ ধরনের অভিযানে সক্রিয় ছিল তারা জানিয়েছে যে ভারত ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বন্দি বিনিময় করত। আবার মুক্তির সময় কাদের চৌধুরীকে বলা হয়েছিল, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিচ্ছেন, তবে কিছু শর্ত রয়েছে। রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে হবে, দেশ ছেড়ে যান এবং পরিস্থিতির উন্নতি হলেই ফিরে আসবেন।

বাংলাদেশের বলপূর্বক গুমের ব্যবস্থায় ভারতীয় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায় বাংলাদেশ থেকে অপহৃত শুকরঞ্জন বালির মামলার ক্ষেত্রে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হওয়ার পর তাকে পাওয়া যায় ভারতীয় কারাগারে। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের মামলাটি বাংলাদেশ-ভারত রেন্ডেশন সিস্টেমের কিছু অনুশীলনের উদাহরণ দেয়। আহমেদ বর্ণনা করেছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে তাকে ভারতীয় পক্ষের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গুমের ক্ষেত্রে তৎকালীণ বাংলাদেশ ও ভারত সরকার নিজেদের মধ্যে উচ্চ স্তরের সমন্বয়ের উপর জোর দিত। একজন সৈনিক ২০১১ সালে দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বর্ণনা দেন। র‌্যাব গোয়েন্দারা তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে তিনজন বন্দীকে পার করে দেয়। এধরনের বন্দী বিনিময়ের সময় ইউনিফর্ম পরিহিত ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি থাকত। কখনো বিনিময়ের পর রাস্তার পাশে বন্দীকে হত্যা করা হয়।

একজন বন্দীকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অন্য দলের কাছে জীবিত হস্তান্তর করা হয়। বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে দুই বন্দিকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব গোয়েন্দারা। কিছু বন্দি এখনও ভারতের কারাগারে থাকতে পারে বলে কমিশন পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে তাদের সনাক্ত করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের বাইরে এই পথ অনুসরণ করা কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে। বাংলাদেশের গুমের ঘটনা যে আন্তর্জাতিক ও সুসংগঠিত চক্রের অংশ এসব ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, রিপোর্টটি জমা দেয়ার পর র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বাহিনীটি বিলুপ্তির সুপারিশ করে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। এছাড়া আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুমের নির্দেশদাতা’ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে তারা। তবে যারা গুম হওয়ার পর ফিরে এসেছেন তাদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আরো নানা তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন। কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গুমের শিকারদের মধ্যে ৭৩% আবার জীবিত ফিরে এসেছেন, তবে ২৭% এখনো নিখোঁজ। ফিরে আসা ভুক্তভোগীদের অনেক জানিয়েছেন যে, গুম নির্যাতন ও বন্দি রাখার পর তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে মধ্যে রয়েছে: সন্ত্রাসবাদ, অস্ত্র আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন বা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে বিভিন্ন মামলা। আবার গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবরের কারণে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার সমাজে চরম অবমাননার শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কমিশন বর্তমানে এই বিষয়গুলোর উপর গভীর তদন্ত ও সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কথা জানিয়েছে। যা ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধ কনভেনশনে সই করেছে, যা এই অপরাধ প্রতিরোধ এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *