কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় একটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে একই ওয়ার্ডের জামায়াত ইসলামীর সভাপতি করা হয়েছে। এই নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডে। আর ওই নেতার নাম মো. আবু হানিফ।
জানা যায়, আগামীকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের জন্য ছাপানো পোস্টারে মো. আবু হানিফের নাম এবং জামায়াতের পদবি লেখা থাকায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে বিষয়টি স্বীকার করেন আবু হানিফ।
সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ বছর তিতাস উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর কোনো ওয়ার্ড কমিটি ছিল না। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জামায়াত উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোতে কমিটি গঠন করা শুরু করে।
স্থানীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, আবু হানিফ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তাকে জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি করা হয়।
আবু হানিফ দেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিগত দিনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, তাই ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়নে আমি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এখন আমি জামায়াতে ইসলামী ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি।’
আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘পদত্যাগ করিনি, তবে করব।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার পরে কথা বলবেন বলে জানান।
তবে কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুল মতিন বলেন, আবু হানিফ মেম্বার হওয়ার ১০ বছর আগে থেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর জোর করে তাকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো আওয়ামী লীগ অনুপ্রবেশ করেনি।