ঐক্য প্রচেষ্টা: চরমোনাই পীরের সাথে জামায়াত আমির সহ অন্যান্য নেতাদের সাক্ষাৎ

চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জামায়াতের আমির বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইয়ে চরমোনাই জামিয়া রশীদিয়া আহছানাবাদ মাদরাসা প্রাঙ্গণে যান। এ সময় তিনি মাদরাসা কম্পাউন্ড ঘুরে দেখেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের সাথে কথা বলেন। পরে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এরপর জামায়াত আমিরকে নিয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চরমোনই পীর বলেন, নির্বাচনের সময় ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স কেন্দ্রে পাঠানোর প্রচেষ্টা আগেও ছিল এখনো চলছে। বিভিন্ন কৌশলে গত ৫৩ বছর ইসলামি দলগুলোকে দূরে রাখা হয়েছে। ৫ আগস্ট নতুন স্বাধীনতার মাধ্যমে ইসলামি পক্ষের একটি ভালো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রের যদি আমরা সময়োপযোগী বিচার না করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য তা অকল্যাণকর।

এ সময় উভয় দলই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন চায় বলে জানান দুই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা মূলত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা দেখতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। তাই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে।

জামায়াত আমির আরও বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫৪ বছর হয়েছে কিন্তু স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাইনি। এটার মূল কারণ হলো দুর্নীতি ও দুঃশাসন। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে না সেখানে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আসবেই। নামাজের বিধান মানলে সমাজেও আল্লাহর বিধান মানতে হবে। কিছু মানা ও কিছু না মানার কারণে দেশ এমন হয়েছে।

ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের মিলন মেলা আল্লাহর জন্য। এই মিলন রাজনীতির মাঠেও থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। জনগণের প্রত্যাশা- নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইসলামি দলগুলোর যেন একটা বাক্স থাকে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তা শেষে নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগের সব ষড়যন্ত্র অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে।

ভারত প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী। আমরা ভারতের কাছ থেকে আশা করব কাঁটাতারের বেড়া না থাকুক। এটা আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *