বৈষম্যমূলক ছাত্র আন্দোলন: বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

বৈষম্যমূলক ছাত্র আন্দোলন বা তাদের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি যদি ভা-দা আর পা-দা উভয়ের ছায়া থেকে বের হয়ে নিজেদের মতো করে একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে তা হবে জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যূথানের সবচেয়ে বড়ো পাওয়া। আজ যদি “বাংলাদেশ ফার্স্ট” এমন মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ছাত্রদের এই রাজনৈতিক শক্তি এগিয়ে আস্তে পারে তা হবে দেশের জন্য সব থেকে বড়ো মঙ্গোল জনক বিষয়। বিএনপি’র মতো রক্ত বড়ো রাজনৈতিক দলকে চেক এন্ড ব্যালেন্সে রাখতে হলেও আমাদের এমন একটা রাজনৈতিক শক্তির খুবই প্রয়োজন। বিএনপি আজ যতই শুধরানোর কথা বালুকণা কেন, বিএনপি’স প্রথম সারির নেতারা যতই গঠনমূলক কথা বার্তা বলুক না কেন, এমন একটা বড়ো দলের ত্রুটি-বিচ্চুতি থাকবেই। তাদের সেই ত্রুটি-বিচ্চুতি শুধরানোর জন্যও এমন বাংলাদেশ পন্থী একটি শক্তির প্রয়োজন।

বাংলাদেশ পন্থী এমন একটি শক্তির উত্থানের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ বৈষম্যমূলক ছাত্র আন্দোলন বা জানাকের নেতৃত্ব স্থানীয় কিছু কিছু নেতাদের কোনো কোনো বিশেষ মহল ঘেঁষা অবস্থানের কারনে তাদের বর্তমানের ইমেজ সংকট। সরকারের ব্যর্থতার ভাগিদার হয়ে আর বার বার বাংলাদেশের একটি বিশেষ গোষ্ঠীর অবস্থানকে সমর্থিন জানিয়ে এখন তাদের নিজেদের অবস্থান এখন অনেকটাই নড়বড়ে। বৈষম্যমূলক ছাত্র আন্দোলনেই নেতাদের এখন চিন্তা করার সময় এসেছে কেন জুলাই ৩৬’র আগে তাদের ডাকে লাখো জনতা রাস্তায় নেমে আসলেও আজ কেন তাদের এমন ইমেজ সংকট। তাদের খুঁজে বের করতে হবে তাদের কোনো অবস্থান, কোন কর্মকান্ড আজকের অবস্থানের জন্য দায়ী। তাদেরকে দেশের মানুষকে চিনতে হবে, বুঝতে হবে বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃত মানসিকতা। তাদেরকে চিনতে হবে বাংলাদেশের পক্ষের প্রকৃত শক্তিকে। গিরগিটির মতো রং বদলানো শক্তি থেকে থাকতে হবে সাবধান। তাদেরকে বুঝতে হবে বাংলাদেশের মানুষ যেমন ভাবে ফ্যাসিস্টকে প্রত্যাখ্যান করেছে ঠিক তেমন ভাবেই উগ্রবাদকেও মেনে নিতে রাজি নয়। সর্বোপরি তাদের বুঝতে হবে তাদের কিছু কিছু হঠকারী অবস্থান বা অন্যের প্রয়োচনায় ফাঁদে পা দিয়ে কিভাবে তারা সারা দেশকেই বিপদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তাদের বুঝতে হবে বাংলাদেশ বিপদে পড়লে তাদের কেউই নিরাপদে থাকতে পারবে না।

বৈষম্যমূলক ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির নেতাদের আজকে চিন্তা করতে হবে তারা এখন আইডোলজিক্যাল ন্যারেটিভ নাকি ওয়েলফেয়ার ন্যারেটিভ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে যেকোনো আইডোলজিক্যাল ন্যারেটিভের শেষ হয় ফ্যাসিজমের মধ্যে দিয়েই।

আমাদের সবাইকেই মনে রাখতে হবে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যত্থানের মধ্যে দিয়ে এক বিরল সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে বাংলাদেশ পন্থী সব শক্তি মিলে দেশটাকে নিজেদের মতো করে তৈরী করে নেওয়ার। আর সেই স্বপ্ন পূরণে আজকের ছাত্র শক্তি হতে পারে এক বিরাট চালিকা শক্তি।

শেষে এসে গানের ভাষায় বলতে হবে “বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও, মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিও।বৈষম্যমূলক ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির নেতাদের আজকে চিন্তা করতে হবে তারা এখন আইডোলজিক্যাল ন্যারেটিভ নাকি ওয়েলফেয়ার ন্যারেটিভ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে যেকোনো আইডোলজিক্যাল ন্যারেটিভের শেষ হয় ফ্যাসিজমের মধ্যে দিয়েই।

আমাদের সবাইকেই মনে রাখতে হবে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যত্থানের মধ্যে দিয়ে এক বিরল সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে বাংলাদেশ পন্থী সব শক্তি মিলে দেশটাকে নিজেদের মতো করে তৈরী করে নেওয়ার। আর সেই স্বপ্ন পূরণে আজকের ছাত্র শক্তি হতে পারে এক বিরাট চালিকা শক্তি।

শেষে এসে গানের ভাষায় বলতে হবে
“বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও,
মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিও।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *