বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আহতদের সুচিকিৎসা প্রদান না করা সরকারের একটি চরম ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতার জন্য আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দায়ী। তিনি বলেন, “যারা আহত হয়েছেন, তাদের আমরা সুচিকিৎসা দিতে পারিনি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই পরিস্থিতিতে গভীরভাবে মর্মাহত।”
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ আহতদের উদ্দেশ্যে এ বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের হাতে কোনো কার্যক্ষমতা নেই। আমরা সরাসরি কিছু করতে পারি না। আপনারা যে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না, তা সত্যি এবং দুঃখজনক। এর জন্য দায়ী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সরকারের অদক্ষতা। সরকার যথাযথভাবে তদারকি করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
আহতদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘ। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন গ্রুপ ও উপগ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে। একপক্ষ অপর পক্ষকে ভুয়া বলে দোষারোপ করছে, যা সরকারের জন্য বিব্রতকর।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমি এই দাবিগুলো সরকারের কাছে পৌঁছে দেব। সরকার আহতদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করবে এবং তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা হবে। কাজ এগিয়ে চলছে, তাই ধৈর্য হারাবেন না।”
এর আগে, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। তারা সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে দিনব্যাপী পঙ্গু হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।