প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন (A M M Nasir Uddin) বলেছেন, “নির্বাচনী ট্রেনের হুইসেল প্রধান উপদেষ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।”
বৈঠকের মূল আলোচনা
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও (Agargaon)-এ নির্বাচন ভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক (Sarah Cooke)-এর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, “ব্রিটিশ হাইকমিশনার সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন এবং নির্বাচনে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন। আমরা দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছি। শিগগিরই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সরঞ্জাম ক্রয়ের প্রক্রিয়ায় যাবে।”
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা ও প্রশিক্ষণ
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সিইসি বলেন, “বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালায় পরিবর্তন আসবে না, তবে দেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে। যথাসময়ে পর্যবেক্ষকদের আগমনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা নেই এমন কাউকে যদি পর্যবেক্ষক হিসেবে আনা হয়, তাহলে তাদের প্রতিবেদন যথাযথ নাও হতে পারে। তাই আমরা অনুরোধ করেছি, নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে তারা আইন ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পান। ব্রিটিশ হাইকমিশন এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সম্ভাব্য সময়সূচি
সিইসি জানান, “আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা যাতে নির্ধারিত সময়সীমা মিস না করি, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনী এজেন্টদের যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেক সময় তারা আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকেন। আমরা চাই, নির্বাচনী এজেন্টদের জন্য একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করেন।”
নির্বাচনের চূড়ান্ত সময়
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “নির্বাচনের ট্রেনের হুইসেল ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচন ডিসেম্বরে অথবা আগামী জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।”