ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার বৃদ্ধির অভিযোগ
৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে অপপ্রচারের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এএফপি (AFP)’র ফ্যাক্ট-চেক এডিটর কদরুদ্দিন শিশির (Kadruddin Shishir)।
‘মুক্তকণ্ঠ’ আলোচনায় তথ্য প্রকাশ
চ্যানেল 24-এর সাপ্তাহিক আয়োজন “ইস্পাহানি মির্জাপুর চা নিবেদিত মুক্তকণ্ঠ”-এ “গুজব ও অপপ্রচার—কার লাভ, কার ক্ষতি?” শীর্ষক আলোচনায় কদরুদ্দিন শিশির এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে একের পর এক বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মেলে না।”
‘ইকোনমিক টাইমস’-এর ভুয়া প্রতিবেদন
কদরুদ্দিন শিশির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, ইকোনমিক টাইমস (Economic Times) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবি করেছিল যে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে ‘কু’ (অভ্যুত্থান) চলছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
৪৯টি ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচার
তিনি বলেন, “আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, অন্তত ৪৯টি ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশবিরোধী বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।”
এর মধ্যে কিছু গণমাধ্যম প্রতিদিনই এক বা একাধিক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে, যেমন:
– টাইমস অব ইন্ডিয়া (Times of India)
– এবিপি আনন্দ (ABP Ananda)
– রিপাবলিক বাংলা (Republic Bangla)
৫ আগস্টের পর রিপোর্টিংয়ের হার বেড়েছে ৭০-৮০%
কদরুদ্দিন শিশির বলেন, “৫ আগস্টের আগে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ বিষয়ে রিপোর্টিংয়ের হার ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে কিছু মিডিয়ার রিপোর্টিংয়ের প্রায় ৭০-৮০% বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে। এটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, এসব সংবাদমাধ্যম পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ভারতীয় মিডিয়ার আগের অপপ্রচার
তিনি আরও বলেন, “২০১২-১৩ সালেও ভারতীয় গণমাধ্যমে একই ধরনের ভুয়া খবর প্রচারিত হয়েছিল, যা পরে ভুল প্রমাণিত হয়। কিন্তু তারা এখনো একই ধরণের অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে।”
গুজব রোধে সতর্ক থাকার আহ্বান
এ ধরনের অপপ্রচার রোধে কদরুদ্দিন শিশির সত্য তথ্য যাচাইয়ের ওপর জোর দেন এবং সাধারণ জনগণকে গুজব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।