গণঅধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad)–এর উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম (Fatima Tasnim) আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) তিনি নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেন। নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে পদত্যাগপত্র প্রকাশ করেন ফাতিমা।
তাসনিম জানান, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর পেছনে চলমান রাজনৈতিক উত্তরণ এবং নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর ইঙ্গিতও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
জানা গেছে, খুব শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। আর সেই দলের সঙ্গেই যুক্ত হচ্ছেন ফাতিমা তাসনিম। নতুন দলটির নেতৃত্বে থাকবেন ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন (Mohammad Rafiqul Amin), যিনি আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। আর ফাতিমা থাকবেন সদস্য সচিবের পদে।
নতুন দলটির ঘোষণা আসছে ১৭ এপ্রিল। এরই মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে যে, এই দলটি কি আদতেই ভিন্ন ধারা আনতে পারবে কিনা।
১৩ এপ্রিল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতির কাছে দপ্তর সম্পাদকের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান ফাতিমা। সেই চিঠিতে তিনি লেখেন—
“আমি ফাতিমা তাসনিম, ব্যক্তিগত কারণে গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করছি।”
এই পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। কেউ কেউ বলছেন, এই রদবদলের পেছনে রয়েছে গণঅধিকার পরিষদের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য, আবার অনেকে মনে করছেন, ফাতিমা ও রফিকুল আমিনের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই এই নতুন যাত্রা।
যদিও ফাতিমা এখনো নতুন দলের আদর্শ বা কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা রফিকুল আমিনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দোল ঠিক কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারবে তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। এই রাজনৈতিক রদবদল কতটা স্থায়ী হয় বা জাতীয় রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।