সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল (Masud Kamal) সম্প্রতি অনলাইন টকশো “ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দিন”-এ অংশ নিয়ে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচন এবং জাতীয় রাজনীতিতে ড. ইউনূস (Dr. Yunus) ও এনসিপি (NCP)-র অবস্থান নিয়ে তীব্র মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচন কবে হবে সেটা এখনই বলা যায় না। কারণ সরকারের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্যগুলো পরস্পরবিরোধী। কেউ তিন বছর, কেউ পাঁচ বছর, কেউ বা ২০২৯ পর্যন্ত সময়ের কথা বলছেন। আবার কেউ বলছেন জাতীয় সরকার হবে—যার প্রধান উপদেষ্টা হবেন ড. ইউনূস, আর উপ-প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমান। এই ধরনের রাজনৈতিক ফর্মুলা এখন খোলামেলা আলোচনায় আসছে।”
মাসুদ কামালের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, “এই সরকার সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভাগ্যবান সরকার। কারণ তারা মাঠে থাকা প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নিঃশর্ত সমর্থন পাচ্ছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়েও এমনটা দেখা যায়নি। এই সমর্থনের সুযোগে সরকারের সুবিধাভোগীরা নানা ধরনের সামাজিক প্রচারণায় লিপ্ত।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। কেউ চাইছে আরও সময় পেয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিতে। তবে এনসিপি সে পথে হাঁটছে না বলে মনে হচ্ছে। বরং, সময় যত বাড়ছে, এনসিপি ততই সংকুচিত হচ্ছে—একেবারে হোমিওপ্যাথির ডোজের মতো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর। তাদের রাজনৈতিক আশাবাদ এখন প্রায় নিঃশেষ।”
তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর প্রসঙ্গে মাসুদ কামাল বলেন, “ড. ইউনূস সরকারের পক্ষে তারেক রহমানের চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। ধরুন আগামী সপ্তাহে তিনি বলে দিলেন যে নির্বাচন দরকার, তাহলে সরকার ডিসেম্বরেই ভোট আয়োজন করবে। কারণ তারা সেই রিস্ক নেবে না।”
রাজনীতির এই অনিশ্চিত আবহে মাসুদ কামালের মূল্যায়ন—”সাপোর্ট না দিলে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন। আর যারা এই সরকারে আছেন, তারা একেকজন একেক কথা বলছেন। এত ভিন্নমত, এত বিভ্রান্তি—এসব ইঙ্গিত করে যে সামনে আরও নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে।”