রাজধানীর পল্লবী (Pallabi) এলাকায় এক বাইক সার্ভিসিংয়ের গ্যারেজে চরম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে প্রাণ হারাল মাত্র চার বছরের একটি শিশু। গাড়ির কম্প্রেসার মেশিনের বাতাস জোরপূর্বক পায়ুপথে ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দোকানের মালিক ও তার এক কিশোর কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে ‘আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিস সেন্টার’ নামক একটি গ্যারেজে। ঘটনার শিকার শিশুটির নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (Abu Bakkar Siddique)। সে ফুলকলি-৭ নামে একটি এনজিও স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (Mohammad Nazrul Islam) গণমাধ্যমকে জানান, শিশুটির মৃত্যুর কারণ হিসেবে পায়ুপথে প্রবল বায়ুচাপ প্রয়োগের তথ্য প্রাথমিক তদন্তেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দোকানে কর্মরত শিশুটির বড় ভাইয়ের (১২ বছর) খোঁজে সেখানে যায় আবু বক্কর। কিন্তু ভাই না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময়, দোকানের মালিক মো. সুজন খান (Md. Sujon Khan) ও ১২ বছর বয়সী কিশোর কর্মচারী মিলে কম্প্রেসারের বাতাস শিশুটির পায়ুপথে প্রবেশ করায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সে সময় শিশুটি চিৎকার ও কান্না করলেও কেউ থামেনি। অল্প সময়ের মধ্যেই তার পেট ফেটে যায় এবং সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এই ঘটনায় নিহত শিশুটির মা অজ্ঞাতনামা একজনসহ মোট চারজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ধৃত কিশোরের পরিচয় আইনগত কারণে প্রকাশ করা হয়নি। বাকি দুজন আসামি হলেন—রাজু (২০) এবং মো. সুজন খান (৩৬)।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকায় পাশের দোকান থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে কিশোর আসামিকে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সোপর্দ করা হবে।
একই দিনে রাজধানীতে আরও কয়েকটি আলোচিত ঘটনা ঘটে। দুপুর ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, যা চলতি এপ্রিলের সর্বোচ্চ। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকালও সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে রাজধানীর তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির মধ্যেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যায়, যার ফলে শহরের বিভিন্ন অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে, প্রয়াত কবি রফিক আজাদ (Rafiq Azad)-এর ধানমন্ডির বাড়ির একাংশ ভেঙে দেয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। বাড়িটিতে প্রায় তিন দশক বসবাস করেছিলেন তিনি ও তার পরিবার।