কুরবানির ঈদের আগেই বাজারে আসছে নতুন নোট, যা থাকছে নকশায়

কুরবানির ঈদের আগেই দেশের বাজারে আসছে নতুন নকশার টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) জানায়, মে মাসের শেষ কিংবা জুনের প্রথম সপ্তাহে এই নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন নোটে এবার উঠে আসছে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বহুল আলোচিত ২০২৩ সালের জুলাইয়ের রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের প্রতীকী চিত্র—গ্রাফিতির মাধ্যমে।

২০২৩ সালের ৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহের পর থেকেই নতুন মুদ্রার নকশা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। যদিও প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বাজারে আসেনি নতুন এই নোট। ঈদুল ফিতরের সময় বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও, বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত নোটটি বিতর্ক এড়াতে ব্যাংকের ভল্টেই রেখে দেওয়া হয়।

ফলে খোলাবাজারে ছেঁড়াফাটা পুরনো নোটের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। গুলিস্তান ও মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত দামে পুরোনো নোট বদলাতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাংকগুলোতেও ছেঁড়া নোট বদলানোয় নানা বিধিনিষেধ থাকায় গ্রাহকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অথচ ব্যাংকের ভল্টে থাকা নোট সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব নির্দেশনার ফল।

এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান (Arif Hossain Khan) জানান, নতুন নোট ছাপাতে সাধারণত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। তবে ঈদের সময়ে সাধারণ মানুষের চাহিদা বিবেচনা করে সীমিত সংখ্যক নতুন নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “মোট ৯ ধরনের নতুন নোট ছাপানো হয়েছে, তবে সবগুলো একসঙ্গে বাজারে ছাড়া হবে না। কিছু নোট ঈদের সময় পর্যায়ক্রমে ছাড়া হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশে প্রায় ১৫০ কোটি নতুন নোটের চাহিদা থাকলেও, দেশে বিদ্যমান টাঁকশাল দিয়ে বছরে সর্বোচ্চ ১২০ কোটি পিস নোট ছাপানো সম্ভব হয়। ফলে চাহিদা ও সরবরাহের এই ব্যবধান নানা রকম বাজার সংকটের জন্ম দিচ্ছে।

সাধারণ মানুষ এখন আশায়, ঈদের আগেই নতুন টাকার ছোঁয়া পেয়ে খানিকটা স্বস্তি পাবে অর্থনৈতিক লেনদেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *