তারেক রহমান (Tarique Rahman), বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, এক আবেগপূর্ণ ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও দেশ গঠনে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
রোববার লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “আমরা আজ এমন একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি যেখানে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি (BNP)। তার ভাষায়, “এই নির্বাচনের জন্য বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, অনেকে গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এটা মানুষের মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার। আমরা একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।”
খেলাধুলা ও শিক্ষা খাতে প্রতিশ্রুতি
তারেক রহমান ভবিষ্যতের সরকার (Government) গঠন প্রসঙ্গে বলেন, “বর্তমানে দেশের চারটি বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকারে এলে প্রত্যেক বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো।”
তিনি আরও জানান, সিলেবাসে পরিবর্তন এনে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে। “শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা শেখাকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করবো, যাতে পরীক্ষায় আলাদাভাবে নম্বর থাকবে,” বলেন তিনি।
বিশেষ করে যেসব ক্রীড়াবিদ আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে—এমন আশ্বাস দেন তারেক। তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আছে, যাতে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই উপকৃত হন।
আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ
আপন ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “একজন বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইয়ের গর্ব করার জন্য যা যা থাকা প্রয়োজন, সবই কোকোর মধ্যে ছিলো।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবু নাসের শেখ এবং পরিচালনা করেন আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের শরফরাজ আহেমদ শরফু। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর শাহে আলম, সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন এবং ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহমুদ আহমেদ শামীম।
অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত করতে ভূমিকা রাখেন আয়োজক দল—ফজলে রহমান (পিনাক), শেখ সাদেক, ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া, আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, শাকিল চৌধুরী, আব্দুস সামাদ রাজ, ফাহিদুল আলম (ফরহাদ), অঞ্জনা আলম, মনোয়ার হোসেন, আলম শিমু, শফিউল আলম মুরাদ, কামরুজ্জামান চৌধুরী পাউন্ড, তুহিন মোল্লা প্রমুখ।