ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক পুলিশি অভিযানের সময় যুবলীগ নেতাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগে মিজানুর রহমান (Mizanur Rahman) নামের এক যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদল (Brahmanbaria District Jubo Dal) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দলটির দপ্তর সম্পাদক মো. আল আমিন স্বাক্ষর করেন। জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা (Shamim Molla) ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের যৌথ নির্দেশনায় মিজানুরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শামীম মোল্লা জানান, ঘটনার পরপরই মিজানুরকে শোকজ করা হয় এবং তিনি লিখিত জবাবও দেন। কিন্তু অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাকে সহায়তার প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ভিডিও হাতে আসার পর, অপরাধ নিশ্চিত হওয়ায় দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়। শামীম বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। এটি একটি বার্তা—যে কেউ দলের স্বার্থবিরোধী কাজ করলে শাস্তির মুখোমুখি হবেন।’
এর আগে ১৭ মে বিজয়নগর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৫ মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়া (Sohag Mia)-কে ধরতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের ইউনুস মিয়ার দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুমন চন্দ্র দাস।
সেই সময় দোকানের ভেতরে ছিলেন সোহাগ মিয়া, আর বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবদল নেতা মিজানুর রহমান। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ যখন দোকানে ঢোকার চেষ্টা করে, তখন মিজানুর সামনে দাঁড়িয়ে তাদের বাধা দিচ্ছেন। এক পর্যায়ে তিনি পুলিশকে ধীর করে দোকানে প্রবেশে সময় নেন, আর ঠিক তখনই সোহাগ মিয়া পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। দলীয় নেতৃত্বও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুবদল বার্তা দিয়েছে, শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দল কোনো সহানুভূতি দেখাবে না।