চলতি অর্থবছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার: রেমিট্যান্স’র রেকর্ড

চলতি অর্থবছরের এখনও দুইদিন বাকি থাকতেই প্রবাসী আয়ের খাতে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের (Bangladesh Bank) হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাস ২৮ দিনে, অর্থাৎ ২৮ জুন পর্যন্ত দেশে পাঠানো মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কেবল জুন মাসের প্রথম ২৮ দিনেই এসেছে ২৩৭ কোটি ডলার। এই রেমিট্যান্স প্রবাহ চলমান থাকলে অর্থবছর শেষে এই অঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সে তুলনায় এবারের প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে দেশে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বাড়ানোয় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

সরকারি বিভিন্ন উৎসাহমূলক উদ্যোগ, যেমন হুন্ডি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা ও প্রণোদনা চালু রাখাও এই বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

রেমিটেন্স বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা ডলারের ভালো দর থাকার কথা তুলে ধরেন। টাকার বিনিময়ে পুরো বছর জুড়েই উচ্চ দর মিলেছে। বছর দেড়েক ধরে ডলারের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে। এখন প্রতি ডলারের বিপরীতে ব্যাংক ও মানি ট্রান্সফার এজেন্সিগুলোতে ১২২ থেকে ১২৩ টাকা মিলছে।

আইএমএফের শর্ত মেনে চলতি বছর মে মাস থেকে ডলার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এরপর গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেছিরেন, বাজারভিত্তিক করা হলেও বর্তমানে ডলারের যা দর রয়েছে, তার থেকে খুব বেশি তারতম্য ঘটবে না।

দেড় মাস পরও বর্তমানে ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।

এই প্রবৃদ্ধি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *