নীলফামারীর চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূরকে

দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত বিভিন্ন মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী ও আসাদুজ্জামান নূর (Asaduzzaman Noor) অবশেষে নীলফামারীর চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর তিনটার দিকে তাঁকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নীলফামারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (Nilphamari Judicial Magistrate Court)–এ হাজির করা হলে বিচারক মো. মোশাররফ হোসেন এই আদেশ দেন।

চারটি মামলার মধ্যে রয়েছে দুটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ। মামলাগুলোর সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের পতনের পরপরই, যা দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করে।

সূত্র জানায়, নীলফামারী সদর থানা-পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান নূরকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করা হয়। বর্তমানে তিনি মিরপুরের সিয়াম ও মামুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কাশিমপুরে বন্দি। এর আগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার বেইলী রোডের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সিয়াম হত্যা মামলায়। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে মামুন হত্যা মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নূরের বিরুদ্ধে যে চারটি নতুন মামলা নীলফামারীতে হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী ও জামায়াত কর্মী আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা মামলা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত আরও দুটি মামলা রয়েছে।

এই মামলাগুলোর বাদীরা নীলফামারী আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে, আদালত সেগুলো সদর থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দেয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আবেদন করলে আজ তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করে আসাদুজ্জামান নূরকে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নীলফামারী আদালত পুলিশের পরিদর্শক জিন্নাত আলী জানান, থানার চারটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে আজ আদালতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নূর কাশিমপুর কারাগার থেকেই ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

নীলফামারী সদর থানার ওসি এম আর সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “নীলফামারীর চার মামলায় সাবেক এমপি নূরকে আজ দুপুরে ভার্চুয়ালি গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা মামলা অন্তর্ভুক্ত।”

এক সময়ের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের এই গ্রেপ্তার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *