মিডফোর্ডে সম্প্রতি যে নেক্কারজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা যে কোনো বিবেকবান মানুষের হৃদয় নাড়িয়ে দেওয়ার মতো। যেভাবে জনসমক্ষে বর্বরতা প্রকাশ পেয়েছে, তা হয়তো দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ডগুলোকেও হার মানাতে পারে—এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। নৃশংসতা যেই করুক, অপরাধী যে দল বা গোষ্ঠীরই হোক না কেন, বিচার তার হওয়াই উচিত—এটাই দেশের সাধারণ মানুষের সর্বসম্মত দাবি।
তবে, অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, এই ভয়াবহ ঘটনাটিকে ঘিরে কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতা শুরু করেছেন ভিন্ন খেলা—হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চলছে।
একদিকে কেউ এই নৃশংসতাকে পুঁজি করে তারেক রহমানকে আক্রমণ করতে ব্যস্ত, অন্যদিকে কেউ বা আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন—যদিও ঘটনার আশপাশে কোথাও তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ধরণের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে—এটা কি বিচার চাওয়া, নাকি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার? নৃশংসতার প্রতিবাদ হোক সম্মিলিত, কিন্তু যেন তা না হয় কোনো হীন রাজনৈতিক স্বার্থের বাহন।
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ঘনিষ্ঠ জন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আহনাফ জামান বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন,

পুরান ঢাকার ঘটনায় ইশরাক যদি শেল্টার দিতে চেয়ে থাকে.
তোমার লাশ আমরা কুত্তা দিয়া খাওয়াবো, তোমার মরা বাপ কবর থেকা উইঠা আসলেও লাভ হবে না!!
ইশরাককে জড়িয়ে কেন এই পোষ্ট, সেটা খুবই স্পষ্ট, ঢাকা দক্ষিনের মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক – আসিফের দূরত্বের কথা সবারই জানা। আর তাই এমন একটা নেক্কারজনক ঘটনাকেও রাজনৈতিকভাবে পূঁজি করে চলছে হীন উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা।